উত্তর প্রদেশের বরেলিতে মন্দিরে ভজন-কীর্তন করতে থাকা ভক্তদের লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথর ছুঁড়লো মুসলিম মৌলবাদীরা। মৌলবাদীদের ছোঁড়া পাথরের বহু ভক্ত আহত হন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে ১৪ জন ইসলামিক মৌলবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনা ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, বরেলি জেলার ফরিদপুর থানার অন্তর্গত নোয়াগাও এলাকায় তথাকথিত দলিত হিন্দুদের বসবাস। শেষ প্রান্তে একটি মন্দির রয়েছে। সেই মন্দিরে সপ্তাহের বেশ কয়েকদিন গ্রামের হিন্দুদের একটি বড়ো অংশ মিলিত হতেন এবং ভজন-কীর্তন করতেন। গত ১২ই সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্যান্য দিনের মতো ওই মন্দিরে ভজন করছিলেন ভক্তরা।
অভিযোগ, গ্রামের এবং পাশের গ্রামের বেশ কিছু মুসলিম যুবক হঠাৎই মন্দির চত্বরে জড়ো হয়। তাঁরা মন্দিরে ভজন-কীর্তন বন্ধ করতে বলে। তখন মন্দিরে থাকা কয়েকজন ভক্ত প্রতিবাদ জানান। তখন ওই মুসলিম যুবকরা মন্দিরে থাকা রামলাল, কাল্লু সমেত বেশ কয়েকজনকে মারধর শুরু করে। অন্যান্যরা রুখে দাঁড়ালে পালিয়ে যায় তাঁরা।
কিন্তু এর কিছুক্ষন পরেই মন্দির চত্বরে থাকা ভক্তদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে ওই মুসলিম যুবকরা। পাথরের আঘাতে বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটে যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বেশ কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের স্থানীয় প্রতিনিধিরা থানায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।
পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ মুবারক,আরিফ, নাজিম, ইকবাল, আহমেদ খান সমেত মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জনিয়েছেন ফরিদপুর থানার অফিসার গৌরব সিংহ।