রাজ্য থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করুন: ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট



Updated: 05 July, 2024 8:42 pm IST

রাজ্যে ঘাঁটি গেড়ে থাকা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলো ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। অবিলম্বে রাজ্য থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর ব্যবস্থা করুন, এক পিটিশনের শুনানিতে এমনই নির্দেশ দেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সংখ্যায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন এক ব্যক্তি। গত ৩রা জুলাই, সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সুজিত নারায়ণ প্রসাদ ও বিচারপতি একে রাই এ বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে অবিলম্বে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

বিচারপতিদের বেঞ্চ তাদের রায়ে বলেন যে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে থাকা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত করা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য নথিভুক্ত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সেই সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের কাছেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আদালতে আবেদনকারী জানিয়েছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী সাঁওতাল পরগনা জেলায় বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশ থেকে দলে দলে লোক পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে। তারপর সহজেই ঝাড়খণ্ডে চলে আসছে। এসেই নানারকম কাকে লেগে পড়ছে। জনজাতি সম্প্রদায়ের মেয়েদের বিয়ে করে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে থেকে যাচ্ছে। এক শ্রেনীর মানুষের সহযোগিতায় খুব সহজেই আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড বানিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে সাঁওতাল পরগনা জেলার বহু এলাকার জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, জনবিন্যাস বদলে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে বহু ঘটনায় দেখা গিয়েছে যে বাংলাদেশিরা নানারকম অপরাধে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এমনকি আদিবাসী ও জনজাতি তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার ঘটনা এবং ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ায় তাদের খুন করার ঘটনা ঘটেছে।

তাছাড়া, বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক সংখ্যায় মুসলমান অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাস বদলে যাওয়ার পাশাপাশি গড়ে উঠছে মসজিদ ও মাদ্রাসা। সম্পূর্ণ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় কয়েক বছরের মধ্যেই ৪৬টি মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে, আজ তক প্রকাশিত এক রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

কিন্তু আদিবাসীদের জমিতে কিভাবে গড়ে উঠছে মসজিদ ও মাদ্রাসা? রিপোর্টে বলা হয়েছে যে আদিবাসী তরুণীদের বিয়ে করছে বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলমানরা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওই তরুণীর কাগজপত্রে আদিবাসী নাম ও পরিচয় থাকছে। তারপর সেই তরুণীর জমিতেই গড়ে উঠছে মসজিদ ও মাদ্রাসা।