অসুস্থ রোগীদের সুস্থ করার অজুহাতে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনার মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ: ধর্মান্তরণ বন্ধ না হলে সংখ্যাগুরুরা একদিন সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। বিচারপতির মতে, অবিলম্বে ধর্মান্তরণ বন্ধ করা প্রয়োজন। গত ১লা জুলাই, সোমবার এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
গত ১লা জুলাই, সোমবার কৈলাশ নামে এক ব্যক্তির জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে। কৈলাশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারা এবং ধর্মন্তরণ বিরোধী আইন UP Prohibition of Unlawful Conversion of Religion Act, 2021 – এ মামলা দায়ের করেছিল হামিরপুরের মৌদাহা থানা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই মামলায় জামিনের আবেদন নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অভিযুক্ত কৈলাশ।
তবে কৈলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর, মন্তব্য বিচারপতির। অভিযোগ অনুযায়ী, হ্যামিরপুরের বাসিন্দা রামপাল মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এলাকার বাসিন্দা কৈলাশ একদিন রামপালের বাড়িতে যায় এবং রামপালের দিদি রামকলি প্রজাপতিকে বলে যে দিল্লীতে একটি প্রার্থনা সভায় যোগ দিলে তাঁর ভাই সুস্থ হতে যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবে রামপাল, এমনটাই জানায় কৈলাশ।
সেই মত গত বছরে রামপালকে দিল্লীতে নিয়ে যায় কৈলাশ। কিন্তু এক সপ্তাহ পরে কৈলাশ ফিরে এলেও ফিরে আসেনি রামপাল। কৈলাশকে জিজ্ঞেস করলেও সে কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রামকলি প্রজাপতি।
তাঁর অভিযোগ, কৈলাশ গ্রামের অনেকের রোগ সারানোর নাম করে দিল্লী নিয়ে গিয়েছিল এবং তাদেরকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে।
সেই মামলার তদন্তে নেমে কৈলাশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে রামপালকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল বলেন যে আবেদনকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। তাই তাঁর জামিনের আবেদন বাতিল করা হলো। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি ধর্মান্তরণ নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন। বিচারপতি বলেন যে ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা রয়েছে। কিন্তু নিরীহ ব্যক্তিদের ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তরিত করার স্বাধীনতা নেই।