ঝাড়খন্ড: ‘বাদল’ নাম নিয়ে জনজাতীয় তরুণীর সঙ্গে প্রেম, ধর্ষণের পর তিন টুকরো করে খুন, গ্রেপ্তার এহসান মির্ধা



Updated: 11 December, 2023 6:27 am IST

শ্রদ্ধা কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটলো ঝাড়খণ্ডে। প্রেমিকাকে আটকে রেখে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে প্রেমিকার দেহকে টুকরো টুকরো করে খুন। শুধু তাই নয়, দেহ লোপাট করতে প্রেমিকার দেহের টুকরোগুলোকে আলাদা স্থানে ফেলা হয়েছিল। শেষমেশ তদন্তে নেমে রহস্যের পর্দাফাঁস করলো পুলিশ। সেই সঙ্গে প্রেমিক তথা ওই তরুণীর খুনি এহসান মির্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলার রানিয়া থানার অন্তর্গত জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা অর্চনা কান্দুলিনা(২১)। সে পুনেতে কাজ করতো। কয়েক বছর আগে খুঁটি এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবক নিজেকে বাদল মির্ধা হিসেবে পরিচয় দেয়। কিন্তু পরে ওই তরুণী জানতে পারে যে বাদলের আসল নাম এহসান এবং সে মুসলিম। তারপর থেকেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে অর্চনা। এমনকি এহসানের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিয়েছিলো সে।

এরই মধ্যে গত ৫ই ডিসেম্বর, খুঁটি এলাকার একটি কুঁয়ো থেকে অর্চনার কাটা মাথা ও হাত উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে একটি ছোট ব্যাগ থেকে অর্চনার আধার কার্ড ও মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে ফোন এবং অন্যান্য সূত্র মারফত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এহসান মির্ধাকে আটক করে। লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অর্চনাকে খুনের কথা স্বীকার করে এহসান।

জেরায় এহসান জানায় যে নভেম্বরের ২৮ তারিখে পুনে থেকে গ্রামে ফিরে আসে অর্চনা। গ্রামের একটি মেলায় অর্চনার সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। কথা বলার নাম করে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় তাকে। তারপর মুখ বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রথমে তাঁর হাত কেটে নেয় সে। তারপর গলা কেটে খুন করে অর্চনাকে। দেহ লোপাট করতে দেহকে মোট তিন টুকরো করে সে। তারপর মাথা ও হাত কুঁয়ায় ফেলে দেয় এবং দেহের বাকি অংশ ফাঁকা মাঠে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অর্চনার দেহাংশ উদ্ধার করে।

এদিকে ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো জেলায়। একাধিক হিন্দু সংগঠন এহসান মির্ধার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিজে জনজাতীয় সম্প্রদায়ের হওয়া সত্বেও রাজ্যে জনজাতীয়দের বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে নীরব। যেভাবে জনজাতীয় তরুণীদের লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে হত্যা করা হচ্ছেও, সে বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি তাকে।