এলাহাবাদ হাইকোর্টের জমিতে থাকা মসজিদ সরানোর নির্দেশে সায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট



Updated: 14 March, 2023 2:33 am IST

এলাহাবাদ হাইকোর্টের জমিতে থাকা মসজিদকে সরানোর নির্দেশে সায় দিলো সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে হাইকোর্টের জমি থেকে মসজিদটি সরিয়ে ফেলতে হবে। মসজিদ সরানোর বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আবেদনকে খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

জানা গিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে কে বা কারা একটি মসজিদ নির্মাণ করে। সেই মসজিদে হাইকোর্টে আসা মুসলিমরা নামাজ পড়তেন। উত্তর প্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে দাবি করা হয় যে মসজিদটি ওয়াকফ বোর্ডের জমিতে নির্মিত এবং সেই জমির অধিকার দাবি করা হয়। ওয়াকফ বোর্ডের এমন দাবিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

খবর অনুযায়ী, ২০১৭ সালে অভিষেক শুক্লা নামে এক আইনজীবী হাইকোর্ট চত্বর থেকে মসজিদ সরানোর দাবি জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ভিত্তিতে মসজিদটি সরানোর নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মসজিদ কমিটি এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।

সেই মামলার শুনানিতে ওয়াকফ বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল। মসজিদ কমিটির হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। হাইকোর্টের জমি থেকে মসজিদ সরানোর তীব্র বিরোধিতা করেন কপিল সিবাল। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমার মসজিদ সরানোর পক্ষে রায় দেন।

বিচারপতিদের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেন যে হাইকোর্টের জমি থেকে মসজিদ সরাতে হবে এবং তা করতে হবে তিন মাসের মধ্যেই। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায় যে তিন মাসের মধ্যে যদি ওয়াকফ বোর্ড এবং মসজিদ কমিটি যদি মসজিদ না সরায়, তবে হাইকোর্ট কতৃপক্ষের উচিত মসজিদটি সরিয়ে ফেলা কিংবা ভেঙে ফেলা।

তবে কোনও উপায় না দেখে মসজিদের জন্য বিকল্প জমি দেওয়ার আবেদন জানান কপিল সিবাল। কিন্তু সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায় যে বিকল্প জমি দেওয়ার নির্দেশ আমরা দিতে পারবো না। তা স্থানীয় প্রশাসনের উপরে ছেড়ে দিলাম।