বোনকে লাগাতার ইভটিজিং করতো কয়েকজন। আর তার প্রতিবাদ করায় দাদকে পিটিয়ে খুন করলো কয়েকজন মুসলিম ছাত্র। খুন হওয়া হিন্দু ছাত্রের নাম সত্যম শর্মা(১৬)। যদিও বোনকে ইভটিজিং করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে খুন হওয়া ছাত্রের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে সবাই পলাতক। ঘটনা উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ জেলার কোরাওন তেহসিলের অন্তর্গত খেরী গ্রামের।
জানা গিয়েছে, গত ২৮শে আগস্ট সত্যম শর্মাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। স্কুল থেকে ফেরার পথে সত্যমকে পিটিয়ে খুন করে কয়েকজন মুসলিম ছাত্র ও কয়েকজন মুসলিম যুবক, যারা স্কুলের ছাত্র ছিল না। সত্যম পরমানন্দ ইন্টার কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৮শে আগস্ট, স্কুল ছুটির পর বোনের সঙ্গে ফিরছিলো সত্যম। সেই সময় কয়েকজন মুসলিম, যাদের মধ্যে ওই স্কুলের মুসলিম ছাত্রও ছিল। সত্যম ও তাঁর বোন যখন তুর্কপূর্বা এলাকার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো, সেই সময় কয়েকজন মুসলিম তাঁর বোনকে ঘিরে ধরে নানারকম কুরুচিকর মন্তব্য করতে থাকে। দশম শ্রেণীর ছাত্র সত্যম সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই মুসলিম ছাত্র ও যুবকরা।
সত্যমের বোনের অভিযোগ, লাঠি দিয়ে পেটানো হয় সত্যমকে। বেশ কয়েকবার মাথায় আঘাত করা হয়। আর তাতেই অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যায় সত্যম। আর তারপরেই পালিয়ে যায় ইভটিজাররা। সত্যমের বোনের অভিযোগ, সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও রাস্তা দিয়ে যাওয়া লোকজন ঘুরেও কেউ তাকাননি। অনেক সময় পরে সত্যমকে উদ্ধার করে স্বরূপ রানী নেহেরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সত্যমকে মৃত ঘোষণা করেন।
সত্যমের বোন বলেন, “সোমবার স্কুল ছুটির পর আমরা বাড়ি ফিরছিলাম। তুর্কপূর্বা মহল্লার রাস্তা দিয়ে আসার সময় আমাদের স্কুলের কয়েকজন মুসলিম ছাত্র আমাদের ঘিরে ধরে। একজন আমার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে। আমি চিৎকার করি। তখন আমার ভাই তাদের বাধা দেয়। আর তারপর তাঁরা ব্যাট ও লাঠি দিয়ে পেটায় এবং মাথায় আঘাত করতে থাকে।”
এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। হিন্দুরা এলাকার প্রধান রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেয়। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো এলাকায়।