পশ্চিমবঙ্গ দিবস



Updated: 20 June, 2023 5:26 am IST

© শ্রী সূর্য শেখর হালদার

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সারা ভারত জুড়ে যে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু হয় তার প্রধান কেন্দ্র ছিল অবিভক্ত বাংলা। বিপিনচন্দ্র পাল, শ্রীঅরবিন্দের মত নেতার নেতৃত্বে এবং যুগান্তর, অনুশীলন সমিতির মত গুপ্ত বৈপ্লবিক সংস্থার তত্ত্বাবধানে শুরু হয় সশস্ত্র ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনকে দমন করার জন্য ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত করেই বাংলা ভাগের । সময়টা 1905 খ্রিস্টাব্দ। লর্ড কার্জনের সেই কুখ্যাত বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত আটকে দিয়েছিল হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাংলার আমজনতা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকারের বঙ্গ ভঙ্গের প্রচেষ্টা শেষ হয় নি বরং ঔপনিবেশিক সরকার গোপনে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রয়াস 1906 খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লীগ নামক একটি সাম্প্রদায়িক দলের প্রতিষ্ঠা। ব্রিটিশদের মন্ত্রণায় রাজনৈতিক ভাবে ব্রিটিশের বি টিম হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগ দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকার নবাব সালিমুল্লাহ। এরপর ভারতীয় রাজনীতির গতি প্রকৃতি অনেক পরিবর্তন হয়। সশস্ত্র আন্দোলন এর পরিবর্তে শুরু হয় ব্রিটিশ বিরোধী অহিংস আন্দোলন । কংগ্রেসের কর্তৃত্ব চলে যায় মহাত্মা গান্ধীর হাতে। তাঁর নিষ্ক্রিয় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন এবং মুসলিম তোষণের নীতি আর অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক মুসলিম লীগের নেতৃত্বে উগ্র ভারত বিরোধী আন্দোলন ভারত মাতার অঙ্গহানি সুনিশ্চিত করে। ভারত ভেঙে মুসলিম জাতির জন্য পৃথক রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রথম দাবি করেন চৌধুরী রহমত আলী। সময়টা ছিল 1933 খ্রিস্টাব্দ। প্রাক্তন কংগ্রেসী এবং পরে মুসলিম লীগের সবচেয়ে বড় নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নার উদ্যোগে 1940 খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লীগ পাকিস্তান প্রস্তাব পাশ করে।

ইতিমধ্যে 1937 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার বিভিন্ন প্রদেশে গুলিতে প্রাদেশিক নির্বাচন আরম্ভ করে। ব্রিটিশ ভারতের প্রজারা পরিবার পিছু একটি করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে প্রাদেশিক সরকার। ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং সমস্ত রাজ্যে জাতীয় কংগ্রেস ক্ষমতা পায়। কিন্তু বাংলাতে কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের উৎসাহ দেখায় না। তাই মুসলিম লীগের সমর্থনে সরকার তৈরি করেন কৃষক প্রজা পার্টি । প্রধানমন্ত্রী ( সেসময় রাজ্যের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী বলা হত ) হন কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ফজলুল হক। মুসলিম লীগ 1941 সালে তাদের দাবি পূরণ হচ্ছে না বলে সমর্থন তুলে নেয় সরকার থেকে। মুসলিম লীগকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন হিন্দু মহাসভা সমর্থন দেয় কৃষক প্রজা পার্টি কে। কংগ্রেস তখনও চুপ। কিন্তু এই অবস্থা বেশি দিন চলে না। 1943 খ্রিষ্টাব্দে ফজলুল হকের সরকার ভেঙে যায় এবং খাজা নাজিমউদ্দিনের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে মুসলিম লীগ। 1946 খ্রিস্টাব্দের নির্বাচনে একমাত্র বাংলা প্রদেশেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে মুসলিম লীগ। প্রধানমন্ত্রী হন সুরাবর্দী এবং সেই বছর থেকেই তিনি শুরু করেন সম্পূর্ণ বাংলাকে পাকিস্তানে নিয়ে যাবার প্রচেষ্টা। এটাই ছিল মুসলিম লীগের চূড়ান্ত লক্ষ্য।

হিন্দুদের ভয় পাওয়ানোর উদ্দেশ্য পুলিশকে নিষ্ক্রিয় রেখে চলেন ভয়াবহ হিন্দু হত্যা যা Great Calcutta Killing নামে পরিচিত। দিনটা ছিল 16 ই আগস্ট 1946 । কলকাতার শহীদ মিনারের জনসভা থেকে হিন্দু হত্যার ডাক দেন সুরাবর্দি। আর সেদিন তাঁর পাশে ছিলেন দুই হিন্দু রাজনীতিবিদ – যোগেন মন্ডল আর জ্যোতি বসু। উল্লেখ্য প্রাথমিকভাবে পাকিস্তান দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিল কমিউনিস্ট গণ এবং যোগেন মন্ডল ( নিম্ন বর্গীয় হিন্দুদের নেতা ) । কিন্তু উভয় পক্ষই পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। যোগেন মন্ডল পাকিস্তানের প্রথম আইন মন্ত্রী হবার পরেও, পাকিস্তানে সরকারি উদ্যোগে হিন্দুদের উপর অত্যাচার দেখে এবং সেটা আটকাতে ব্যার্থ হয়ে ভারতে ফিরে আসেন 1950 খ্রিস্টাব্দে।

যাইহোক কলকাতায় হিন্দু হত্যার মাধ্যমে হিন্দুদের ভয় দেখানোর যে প্রয়াস মুসলিম লীগের সরকার করেছিল, সেটা সফল হল না । গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠার নেতৃত্বে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে হিন্দুরা। পাল্টা মারে পিছু হটে সুরাবর্দীর হার্মাদ বাহিনী। কলকাতায় অসফল হয়ে মুসলিম লীগের হার্মাদ বাহিনি ওই বছরের 10 অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন মুসলিম অধ্যুষিত নোয়াখালীতে দাঙ্গা চালায়। পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ওপর শুরু হয় অকথ্য অত্যাচার। সব জায়গাতেই নিষ্ক্রিয় থাকে মুসলিম লীগ চালিত সরকারের পুলিশ। হিন্দু জনগণ এবং হিন্দু রাজনৈতিক নেতারা বুঝে যান হিন্দু জাতি আর মুসলিম জাতির একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বাঙালি হিন্দুদের জন্য পৃথক রাজ্যের দাবি তোলেন। কংগ্রেস নেতা কিরণশঙ্কর রায় এবং নেতাজি সুভাষ বোসের দাদা শরৎচন্দ্র বসু এই সময় দাবি তোলেন ভারত থেকে পৃথক করে অখন্ড বাংলাকে নিয়ে একটি দেশ তৈরি করার। কিন্তু এই দাবি শেষ অব্দি ধোপে টেকেনি। কারণ এইরূপ অখন্ড বাংলা তৈরি হলে তার শাসন ক্ষমতা থাকত মুসলিম জাতির হাতে কারণ বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মুসলিম জাতির মানুষ । সম্পদ ও বুদ্ধিতে বলিয়ান হলেও মাত্র এক চতুর্থাংশ বাংলাভাষী হিন্দু জাতির অন্তর্ভুক্ত। তাই হিন্দু বাঙালিরা সমর্থন করেনি এই দাবি : সাধারণ জনগণ সমর্থন করেন ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দাবিকে।

1947 সালে ভারত যখন স্বাধীনতার দিকে এগোচ্ছে, তখন হুগলি জেলার তারকেশ্বরে হিন্দু মহাসভার সম্মেলন হয়। বিষয় ছিল হিন্দু অধ্যুষিত জেলাগুলিকে নিয়ে একটি পৃথক রাজ্য গঠন যা থাকবে ভারতের মধ্যে। কংগ্রেস, কমিউনিস্ট এবং অন্যান্য নির্দলীয় হিন্দু রাজনৈতিক নেতারাও শ্যামাপ্রসাদ বাবুর হিন্দু মহাসভার এই দাবিকে সমর্থন করেন। অবশেষে স্থির হয় আইন সভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক হবে অখন্ড বাংলা ভেঙে হিন্দু বাঙালির জন্য একটি রাজ্য হবে কি হবে না। 1947 সালের 20জুন সেই ঐতিহাসিক দিন, যেদিন বাংলার আইন সভায় সেই ভোটাভুটি সম্পন্ন হয়। সেদিন রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সমস্ত বাঙালি হিন্দু রাজনৈতিক নেতা তাঁদের ঐক্য প্রদর্শন করেন। শ্যামাপ্রসাদ বাবুর নেতৃত্বে তাঁরা ভোট দেন বাঙালি হিন্দুর পৃথক রাজ্যের পক্ষে। পৃথক রাজ্য গঠনের পক্ষে ভোট পড়ে 58 টি আর মুসলিম লীগের সকল বিধায়ক ভোট দেন বাংলাকে অখন্ড রেখে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়ার পক্ষে। তার পক্ষে ভোট পড়ে 21 টি। উল্লেখ্য পরবর্তীকালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু, সুভাষচন্দ্র বসুর আত্মীয় হেমন্ত বসুরাও সেদিন শ্যামাপ্রসাদ বাবুর আহবানে সাড়া দিয়ে ভোট দিয়েছিলেন পৃথক পশ্চিমবঙ্গ গঠনের পক্ষে।

এভাবেই বাঙালি হিন্দুর পৃথক রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ তৈরীর প্রেক্ষাপটে রচিত হয়। ভারতের স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ববঙ্গ চলে যায় পাকিস্তানের দখলে। আর হিন্দু অধ্যুষিত পশ্চিমবঙ্গ ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে থেকে যায়। সেদিন যেসব বিধায়ক বাংলাকে অখন্ড রেখে পাকিস্তানি নিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন –

আব্দুল আহাদ
ঠিকানা:- গ্রাম ও ডাকঘর- লবশা, সাতক্ষীরা, খুলনা
বিজয়ী আসন:- সাতক্ষীরা

এ এফ এম আব্দুর রহমান
ঠিকানা:- ১৮/১/এ পীতাম্বর ঘটক লেন, আলিপুর
বিজয়ী আসন:- উত্তর-পূর্ব ২৪ পরগণা

আব্দুস সবুর খান
ঠিকানা:- লোয়ার যশোর রোড, খুলনা
বিজয়ী আসন:- খুলনা

আবুল হাশেম
ঠিকানা:- গ্রাম- কাঁসাড়া, ডাকঘর- কাশেমনগর, বর্ধমান
বিজয়ী আসন- বর্ধমান

হুসন আরা বেগম
ঠিকানা:- ১১ বি তিলজলা রোড, কলিকাতা
বিজয়ী আসন:- কলিকাতার মহিলা সংরক্ষিত আসন

ইলিয়াস আলী মোল্লা
ঠিকানা:- ১ নং, জগন্নাথ নগর, ডাকঘর- বাটানগর, ২৪ পরগণা
বিজয়ী আসন:- ২৪ পরগণা (সাধারণ)

এম এ এইচ ইস্পাহানি
ঠিকানা:- ৫ হ্যারিংটন স্ট্রিট, কলিকাতা
বিজয়ী আসন:- মুসলিম শিল্প ও বাণিজ্য সংঘ

জসীমউদ্দীন আহমেদ
ঠিকানা:- রামচন্দ্রপুর, ডাকঘর- শিরাকোল, ২৪ পরগণা
বিজয়ী আসন:- ২৪ পরগণা (দক্ষিণ)

মোহাম্মদ শরীফ খান
ঠিকানা:- ২৫৬ বেহস রোড, হাওড়া
বিজয়ী আসন:- হুগলী তথা হাওড়া পুরসভা

মোজাম্মেল হোসেন
ঠিকানা:- বাগেরহাট, খুলনা
বিজয়ী আসন:- বাগেরহাট

মোহাম্মদ ইদ্রিস
ঠিকানা:- গ্রাম- বাউকুল, ডাকঘর- জগৎবল্লভ পুর, হাওড়া
বিজয়ী আসন:- হাওড়া

মোহাম্মদ কমরুদ্দিন
ঠিকানা:- কাকিনাড়া, ২৪ পরগণা
বিজয়ী আসন:- ব্যারাকপুর পুরসভা

মোহাম্মদ রফিক
ঠিকানা:- ১৯, জাকারিয়া স্ট্রিট, কলিকাতা
বিজয়ী আসন:- কলিকাতা (উত্তর)

সৈয়দ মোহাম্মদ সিদ্দিক
ঠিকানা:- গ্রাম ও ডাকঘর- রোল, বাঁকুড়া
বিজয়ী আসন:- বাঁকুড়া

মুসারফ হুসেন
(নবাব খান বাহাদুর), জলপাইগুড়ি নগর
বিজয়ী আসন:- জলপাইগুড়ি তথা দার্জিলিং

কে নুরুদ্দিন
ঠিকানা:- ২৪ চৌরঙ্গী রোড, কলিকাতা
বিজয়ী আসন:- কলিকাতা দক্ষিণ

সিরাজুদ্দীন আহমেদ
ঠিকানা:- গ্রাম- কৃষ্ণপুর, ডাকঘর- সন্দ্বীপ, মেদিনীপুর
বিজয়ী আসন:- মেদিনীপুর

এইচ এস সুরাবর্দী
ঠিকানা:- থিয়েটার রোড, কলিকাতা
বিজয়ী আসন:- ২৪ পরগণা পৌরসভা অঞ্চল

এ এম এ জামান
ঠিকানা:- গ্রাম- ইলামদি, ডাকঘর- সুলতানসাদি, ঢাকা
বিজয়ী আসন:- হুগলী তথা শ্রীরামপুরের নথিবদ্ধ কারখানাগুলি (শ্রমিক)

মুদাসীর হুসেন
ঠিকানা:- রামপুরহাট, বীরভূম
বিজয়ী আসন:- বীরভূম

আব্দুল ওয়াহিদ সরকার
বিজয়ী আসন:- হুগলী

এরাই সেই বিরোধী একুশ, যারা পশ্চিমবঙ্গ তৈরির প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। এঁরা ভারতে বসেই ভারত বিরোধীতা করেছিলেন।
আর পশ্চিমবঙ্গ সৃষ্টির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন যে ৫৮ জন হিন্দু বাঙালি বিধায়ক , তাঁরা হলেন –

গোবিন্দলাল ব্যানার্জি, প্রমথ নাথ ব্যানার্জি, শিবনাথ ব্যানার্জি, সুশীল কুমার ব্যানার্জি, সুরেশ চন্দ্র ব্যানার্জি, মোহিনী মোহন বর্মন, হেমন্ত কুমার বসু, জ্যোতি বসু, চারু চন্দ্র ভাণ্ডারী, সতীশ চন্দ্র বসু, রতনলাল ব্রাহ্মণ, মিহির লাল চট্টোপাধ্যায়, অন্নদা প্রসাদ চৌধুরী, বীণা দাস, রাধা নাথ দাস, স্যার উদয় চাঁদ মহতাব, নিকুঞ্জ বিহারী মাইতি, বিষাপতি মাঝি, ভূপতি মজুমদার
ঈশ্বর চন্দ্র মাল, আশুতোষ মল্লিক, অন্নদা প্রসাদ মন্ডল, বঙ্কুবিহারী মণ্ডল, কৃষ্ণ প্রসাদ মণ্ডল, শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি, ধীরেন্দ্র নারায়ণ মুখার্জি, কালীপদ মুখার্জি, মুকুন্দ বিহারী মল্লিক, বাসন্তী লাল মুরারকা, খগেন্দ্র লাল দাশগুপ্ত, কানাই লাল দাস, কানাই লাল দে, হরেন্দ্র নাথ দলুই, সুকুমার দত্ত, নীহারেন্দু দত্ত মজুমদার, বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি, অরবিন্দ গয়েশ, এ কে ঘোষ, বিমল কুমার ঘোষ, ডি গোমস , ডম্বর সিংহ গুরুং, ঈশ্বর দাস জালান, দেবী প্রসাদ খৈতান, চারু চন্দ্র মোহান্তি, অর্ধেন্দু শেখর নস্কর, যাদবেন্দ্র নাথ পাঁজা, এল আর পেন্টনি, আর ই প্লেটেল, আনন্দী লাল পোদ্দার, রজনী কান্ত প্রামাণিক, কমল কৃষ্ণ রায়, যোগেশ্বর রায়, শ্রীমতি ই এম রিকেটস, রাজেন্দ্র নাথ সরকার, দেবেন্দ্র নাথ সেন, বিমল চন্দ্র সিংহ, জিসিডি উইলকিস।

আজ সেই 20 জুন। ঠিক আজ থেকে 75 বছর আগে ঘটেছিলো এই ঐতিহাসিক ঘটনা। কিন্তু আত্মবিস্মৃত বাঙালি হিন্দু বিদ্যালয় পাঠ্য ইতিহাসের পাতা থেকে বাদ দিয়েছে এই ঘটনাকে। পশ্চিমবঙ্গ কিভাবে তৈরি হয়েছিল তা জানেনা বেশিরভাগ পশ্চিম বঙ্গ বাসী। আসুন , তাই আজ আমরা স্মরণ করি সেই 58 জন বীর যোদ্ধাকে যাঁদের ভোটে তৈরি হয়েছিল আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গ যা হিন্দু বাঙালির হোমল্যান্ড আর পালন করি পশ্চিমবঙ্গ দিবস।