নির্লজ্য তোষণ রাজনীতির নমুনা দেখা গেল তামিলনাড়ুতে। হিন্দু কৃষকদের প্রায় ৫৭ একর জমির পাট্টা রাতারাতি বাতিল করে সেই জমি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দিলো ডিএমকে সরকার। আর সরকারের এমন সিদ্ধান্তে রাতারাতি পথে বসেছে ৩০টি হিন্দু কৃষক পরিবার। সব হারানো কৃষক পরিবারগুলো সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। আর সেই বিক্ষোভরত কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে হিন্দু সংগঠন ‛হিন্দু মুন্নানী’।
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর রাণীপেত জেলার আরকোট ইউনিয়নের কাছে ভেপ্পুর নামে একটি গ্রাম রয়েছে। সেই গ্রামের প্রায় ৩০টি কৃষক পরিবার প্রায় ৪০ বছর আগে জমির পাট্টা পান। সরকার প্রদত্ত পাট্টা জমির পরিমান প্রায় ৫৭ একর। সেই থেকেই ওই কৃষকরা ওই জমিতে চাষবাস করে আসছেন।
কিন্ত কিছুদিন আগে হঠাৎই সেই জমির পাট্টা বাতিল করে ডিএমকে সরকার। তারপর সেই ৫৭ একর জমি তামিলনাড়ু ওয়াকফ বোর্ডকে হস্তান্তর করে এম কে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে সরকার। সেই মত পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন গ্রামে এসে নোটিস ঝুলিয়ে দিয়ে যায় এবং অবিলম্বে সেই জমি খালি করার কথা বলে যায়। আর সে কথা শুনে আকাশ থেকে পড়েন হিন্দু কৃষকরা।
হিন্দু কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক এবং ডিএমকে সরকারের মন্ত্রী আর গান্ধী এবং জেলাশাসকের চক্রান্তে এমনটা হয়েছে। তাই জমি ফিরে পেতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন ওই কৃষকরা। তাদের দাবি, সরকার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুক। অন্যদিকে এমন ঘটনাকে ‛ল্যান্ড জিহাদ(Land Jihad)’ হিসেবে অভিহিত করছে ‛হিন্দু মুন্নানী।
হিন্দু মুন্নানীর জেলা সভাপতি টিভি রাজেশ বলেন, ‛১৯০০ সালে ওয়াহাব নামে এক ব্যক্তি তাঁর চার স্ত্রীর মধ্যে ওই ৫৭ একর জমি ভাগ করে দেন। পরে ওয়াহাবের মৃত্যুর পর সেই জমি তাঁর চার স্ত্রী স্থানীয় হিন্দুদের কাছে বিক্রি করেন। বেশ কিছু জমি ধার শোধ করতে না পেরে ওয়াহাবের বংশধররা অনেক জমি হস্তান্তর করেন। পরে ওয়াহাবের বংশধররা সেই জমির দখল চেয়ে চেঙ্গালপেত আদালতে মামলা করে। সেই মামলার রায় হিন্দু কৃষকদের পক্ষে যায়। পরে সরকারের তরফে পুরো জমির পাট্টা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ৪০ বছর পরে হঠাৎ করে সরকার সেই জমির পাট্টা বাতিল করে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে তুলে দিলো। ডিএমকে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।’