হরিয়ানার নুহতে হিন্দু বিরোধী হিংসার ঘটনা(Nuh Anti-Hindu Violence)- এর তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT( Special Investigation Team) গঠন করেছে হরিয়ানা সরকার। আর সেই সিট-এর তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার দিন, নলহার গ্রামের মসজিদের মাইক থেকে উস্কানিমূলক ঘোষণা করা হয়। আর সেই ঘোষণার পরই স্থানীয় মুসলিম যুবকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে হিন্দুদের ধর্মীয় শোভাযাত্রায় হামলা চালায়।
The Tribune-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নলহার গ্রামের মসজিদের ইমাম ফজরু মিঞা ওইদিন মসজিদের মাইকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া অভিযোগ মাইকে প্রচার করেন। তিনি মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করেন যে হিন্দুরা নলহার মন্দিরের কাছে বেছে বেছে মুসলিমদের দোকানে লুটপাট চালাচ্ছে। তিনি মুসলিমদের পথে নেমে এর প্রতিবাদ করতে বলেন।
সেই ঘোষণা মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের গ্রামে। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। একদল উত্তেজিত মুসলিম যুবক রাস্তায় বেরিয়ে আসেন এবং হিন্দুদের জলাভিষেক যাত্রায় আক্রমণ করে। আর একদল যুবক হাসপাতাল মোড় এলাকায় রাস্তা আটকে গাড়ি দাঁড় করাতে শুরু করে। বেছে বেছে হিন্দুদের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগাতে শুরু করে। আর তারপরই আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় হিন্দু বিরোধী হিংসা ব্যাপক আকার ধারণ করে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১লা আগস্ট এলাকা ছেড়ে সপরিবারে পালিয়ে যান মসজিদের ইমাম ফজরু মিঞা। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে SIT।
এদিকে নুহ এবং আশেপাশের এলাকার মুসলিমদেরকে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে ইমামদের সংগঠন। শুক্রবারের নামাজ বাড়িতে করা এবং খোলা স্থানে নামাজ না পড়তে আবেদন জানানো হয়েছে। এলাকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এমন নির্দেশ বলে জানানো হয়েছে ইমাম সংগঠনের তরফে।