মাদ্রাসায় শিক্ষকতার আড়ালে নাশকতার ছক কষেছিলেন ‘আলেম’ সোহেল আবুবকর। দেশের বেশ কয়েকজন হিন্দুত্ববাদী নেতা ও কর্মীকে খুন করার পরিকল্পনা করছিলেন তিনি। এক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুরো চক্রের পর্দাফাঁস করলো পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোহেল আবুবকর গুজরাটের সুরাতের বাসিন্দা। সেখানকার এক মাদ্রাসায় পড়ানোর কাজ করতেন। ‘আলেম’ হওয়ার কারণে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বেশ শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন সোহেল। কিন্তু মাদ্রাসায় পড়ানোর পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে থাকা জিহাদী গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন তিনি।
অভিযোগ, সুরাতে বসেই প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা, হিন্দুত্ববাদী নেতা উপদেশ রানা, বিজেপি নেতা টি রাজা সিং ও সুদর্শন নিউজের প্রধান সুরেশ চাভানকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদেশের মাটিতে সক্রিয় জিহাদী গোষ্ঠীর থেকে পেয়েছিলেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। বিদেশ থেকে অস্ত্র আনার ছক কষছিলেন ওই আলেম।
সাংবাদিক সম্মেলনে সুরাতের পুলিশ কমিশনার অনুপম সিং গেহলত জানান যে মূলত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে বিশ্বের একাধিক দেশের জিহাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতো আবুবকর। সেই সব গ্রুপে নেপাল, পাকিস্তান, কাজাখস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার কিছু ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন।
কিন্তু কিভাবে এই চক্রান্তের পর্দাফাঁস হলো? পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন আগে উপদেশ রানার ফোনে খুনের হুমকি আসে। সেই হুমকি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ সুরাতের বাসিন্দা সোহেল আবুবকরের খোঁজ পায়। পরে তাকে জেরা করে এবং তাঁর ফোন ঘেঁটে পুরো জিহাদী চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ।