নিখোঁজ হিন্দু তরুণীর পচা গলা দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তপ্ত আসামের শিলচরের রাঙ্গীরখাড়ি এলাকা। ক্ষুব্ধ জনতা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হাইলাকান্দি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয়। পরে পুলিশ এসে দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলেও অবরোধ তোলেননি বিক্ষোভে সামিল লোকজন। শেষে বাধ্য হয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সরায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত ১৫ই জুলাই রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন পিঙ্কি রায়(১৯) নামে এক তরুণী। সে একটি দোকানে কাজ করতো। প্রতিদিন রাত সাড়ে নয়টায় কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে আসতেন। কিন্তু ওই দিন রাতে দোকান থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি ওই তরুণী। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিতা। পরে গতকাল ১৮ই জুলাই, মঙ্গলবার দ্বোয়ারবন্দ এলাকার একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে মেয়েটির পচা গলা দেহ উদ্ধার হয়।
খবর অনুযায়ী, গতকাল সকালে স্থানীয় কয়েকজন দুর্গন্ধ পেয়ে দেখেন যে একটি মেয়ের মৃতদেহ পড়ে আছে। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খবর যায় নিখোঁজ তরুণীর পরিবারের কাছে। তাঁর পিতা মাতা দেহ শনাক্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন যে তরুণীর দেহ পচতে শুরু করেছে। দেহের ক্ষত বিক্ষত অবস্থা দেখে অনুমান করা যায় যে ওই তরুণীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। দেহের বিভিন্ন অংশে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে এবং তারপর গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা।
এমন নৃশংস হত্যার ঘটনার ঘটনা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় হিন্দু জনতা। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় উপস্থিত হয় পুলিশ। দোষীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিলেও অবরোধ ওঠেনি। শেষে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার নুমাল মহাত্মা জানান যে এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত। পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করবে, আশ্বাস দেন তিনি।