এক হিন্দু পরিবারকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার মত ঘৃণ্য ঘটনা ঘটলো এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। খবর অনুযায়ী বীরভূম জেলার হাসন বিধানসভা কেন্দ্রের কানহাইপুর গ্রামের এক হিন্দু পরিবারের ৫ সদস্যকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ঘটলো। ইতিমধ্যে সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে এক মৌলভী হিন্দু পরিবারের সদস্যদেরকে কলমা পাঠ করিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করছেন। তবে এখনো এটা স্পষ্ট নয় যে ওই হিন্দু পরিবারকে জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে নাকি তাঁরা স্বেচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ওই পরিবারের প্রধান কর্তা নিমাই দাস কয়েক মাস আগে হঠাৎই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারপর তিনি ওই পরিবারের বাকি সদস্যদের চাপ সৃষ্টি করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার সময় এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে উঠে যান। যখন মৌলভী এই মহিলাকে বলেন যে বাড়িতে কোন মূর্তি পূজা করা যাবে না বা ঠাকুরের ছবি রাখা যাবে না; তখন ওই মহিলা কাঁদতে কাঁদতে উঠে যান। এ থেকে এটাই স্পষ্ট হয় যে ওই হিন্দু মহিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রাজি ছিলেন না।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে নিমাই দাসের পরিবার ওই এলাকার এমন একটি জায়গাতে বসবাস করতেন তার আশেপাশে কোন হিন্দু বাড়ি ছিল না। বেশ কিছুদিন যাবৎ নিমাই দাস চেষ্টা করছিলেন কোন হিন্দু এলাকায় বাড়িঘর বানিয়ে চলে যাওয়ার। স্থানীয় সূত্রেও আরও খবর যে নিমাই দাস হিন্দু এলাকার বেশ কয়েকজনের কাছে অনুরোধ করেছিলেন যে তাঁর পরিবারের থাকার জন্য একটু জায়গা দেওয়া হোক। কিন্তু তাঁর সেই আবেদনে কেউ সাড়া দেননি। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে নিমাই দাস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা ইসলাম গ্রহণে রাজি ছিলেন না। তাদেরকে এক প্রকার বাধ্য করেন নিমাই দাস। এমনকি নিমাই দাসের পরিবারের কয়েকজন নাবালক সদস্যকেও ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়।
ইতিমধ্যে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। অনেকেই ওই পরিবারকে সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন। কিন্তু শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত নিমাই দাসের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।