যৌতুক হিসেবে সোনার চেন এবং কিছু টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের পরে অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও তা দিতে পারেননি মেয়ের পিতা। আর তাতে ক্রূদ্ধ হয়ে বিবিকে তিন তালাক দিলেন এক ব্যক্তি। তাও আবার ফোনে। ঘটনা উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকি জেলার।
উল্লেখ্য, আইন করে দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে তিন তালাক(Triple Talaq)। কিন্তু তারপরেও কিছু মুসলিম ব্যক্তি সেই আইনের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন তুচ্ছ কারণে নিজেদের বিবিকে তিন তালাক দিচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায়ই তালাক দেওয়ার খবর সামনে আসছে।
জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকি জেলার আসান্দ্রা থানা এলাকার বাসিন্দা রিহানা বানো। বছর খানেক আগে, দুই পরিবারের সম্মতিতে মহম্মদ জাফরের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের কিছুদিন পরেই সৌদি আরবে কাজ করতে চলে যান জাফর। কিন্তু বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে জাফরকে সোনার চেন এবং দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা দিতে পারেননি রিহানার পিতা নৌশাদ আলী। আর এ নিয়ে প্রায়ই গঞ্জনা সহ্য করতে হতো, অভিযোগ রিহানার।
সৌদি আরবে থাকা রিহানার স্বামীও ফোনে প্রায়ই তাকে কটু কথা শোনাতো। কয়েক দিন আগেই রিহানাকে ফোন করে তিন তালাক দেয় জাফর। তারপর রিহানাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় জাফরের পরিবারের লোকজন। নিজের বাপের বাড়িতে ফায়ার আসে সে।
তারপরই আসান্দ্রা থানায় মহম্মদ জাফর ও তাঁর পিতা-মাতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রিহানা বানো। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।