গত ২৯শে জানুয়ারি উত্তর প্রদেশের লখনৌ শহরে হিন্দুদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামচরিতমানস(Ramcharitmanas) পোড়ালেন অখিল ভারত ওবিসি মহাসভার সদস্যরা। সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্যকে সমর্থন জানাতেই এমন ঘৃণ্য কাজ করেন ওবিসি মহাসভার সদস্যরা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্য মন্তব্য করেন যে রামচরিতমানস গ্রন্থকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। সেই মন্তব্য ঘিরে নিন্দার ঝড়ের মাঝেই এমন হিন্দু বিরোধী কাজের খবর সামনে এলো।
ইতিমধ্যেই রামচরিতমানস গ্রন্থ পোড়ানোর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে ওবিসি মহাসভার সদস্যরা নানারকম কটু মন্তব্য করছেন। এক ব্যক্তি রামচরিতমানসের পৃষ্ঠা ছিঁড়তে ছিঁড়তে বলছেন যে এই গ্রন্থের শ্লোকে মহিলা এবং শূদ্রদের বিরুদ্ধে নানারকম কথা লেখা হয়েছে। তাই এই গ্রন্থ নিষিদ্ধ করা উচিত।
তারপরই ওবিসি মহাসভার সদস্যরা রামচরিতমানসের কপিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন। আর সেই ভিডিও দেখেই রামভক্ত ও ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২শে জানুয়ারি একটি টিভি চ্যানেলের লাইভ প্রোগ্রাম চলাকালীন সমাজবাদী পার্টির নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্য মন্তব্য করেন যে তুলসীদাসের লেখা রামচরিতমানস গ্রন্থটিকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। তাঁর অভিযোগ ছিল এই গ্রন্থটি সমাজে মানুষের মধ্যে ঘৃনা ও বিভেদ ছড়ায়। তাঁর সেই মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের কাজেই ওবিসি মহাসভার এমন ঘৃণ্য কাণ্ড।