পরিবারের সম্মান রক্ষায় নিজের বোনকে নৃশংসভাবে খুন করলো দাদারা(Honour killing in Uttar Pradesh)। কারণ বোন নিচু জাতের যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। গত ২৮শে জুন, ঘটনাটি ঘটে উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগর জেলার বুড়ানা থানার অন্তর্গত আলিপুর আটেরনা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, গ্রামের যুবক শাহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ফারহানা নামে এক যুবতীর। কিন্তু শাহিদ ‘ফকির’ সম্প্রদায়ের মুসলিম হওয়ায় এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল ফারহানার পরিবারের। কিন্তু সেসব আপত্তি অগ্রাহ্য করে বছর খানেক বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ফারহানা এবং বিয়ে করেন শাহিদকে।
কিন্ত পরিবারের ভয়ে বছরখানেক ধরে অন্যত্র বসবাস করছিলেন শাহিদ ও ফারহানা। মাসখানেক আগেই গ্রামে ফিরেছিলেন দুজনে। গ্রামের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে শুরু করেন ফারহানা। গতকাল ২৮শে জুন, বুধবার সন্ধ্যায় বিউটি পার্লার থেকে ফিরছিলেন ফারহানা। সেই সময় রাস্তায় তাকে ঘিরে ধরে গুলি চালায় তাঁর নিজের দাদা সালমান, ফামান, নোমান এবং মেহেরবান। একাধিক গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ফারহানা। তারপর চার দাদা মিলে নিজের বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। তারপর বোনের দেহ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় সে।
পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। শাহিদের দাদা থানায় ফারহানার চার দাদার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে দুটি দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করেছে। শাহিদের দাদার অভিযোগ, ‘আমরা ফকির সম্প্রদায়ের হওয়ায় এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি ফারহানার পরিবার। একাধিকবার হুমকি দিয়েছিল।”
উল্লেখ্য, এই ঘটনা মুসলিম সমাজের মধ্যে জাত নিয়ে যে বিদ্বেষ রয়েছে, তা স্পষ্টতই তুলে ধরেছে। অতীতে নিচু যাতে বিয়ে করায় হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি আহমদিয়া কিংবা অন্যান্য নিচু জাতের মুসলিমদের প্রতি উঁচু জাতের মুসলিমদের অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে সংবাদ মাধ্যমে।