নয়ডা: লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে পিতা-পুত্রের দ্বারা ধর্ষিতা হলেন ডাক্তারি পড়ুয়া পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু তরুণী



Updated: 19 February, 2023 6:44 am IST

গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দিল্লী পুলিশ জানায় যে এক হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণ এবং ধর্মান্তরিত করতে চাপ দেওয়ায় এক ব্যক্তি এবং তাঁর পিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানায় যে ধর্ষিতা তরুণী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং নয়ডার একটি কলেজে এমবিবিএস-এ পাঠরত।

জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের নাম হলো মহম্মদ আখলাক(৩০) এবং মহম্মদ মঈন(৫২)। ধৃতরা সম্পর্কে পিতা-পুত্র। পিতা ও পুত্র দুজনে মিলেই ডাক্তারি পড়ুয়া ওই হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণ করেন। কারণ ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে রাজি হননি ওই তরুণী।

পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত মহম্মদ আখলাকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল। আসল নাম পরিচয় গোপন করে নিজেকে আদিত্য শর্মা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল আখলাক। পেশায় একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্তা হিসেবে নিজকে পরিচয় দেয় আখলাক। এমনকি সে বিবাহিত হওয়া সত্বেও জানায় যে সে অবিবাহিত।

আখলাকের কথায় খুব সহজেই বিশ্বাস করেন ডাক্তারি পড়ুয়া ওই হিন্দু তরুণী। অল্পদিনের মধ্যেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় এবং একাধিকবার দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে জানান ওই তরুণী। কিন্তু গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ওই তরুণী জানতে পারেন যে প্রেমিক আদিত্য শর্মা আসলে মহম্মদ আখলাক এবং সে বিবাহিত ও দুই সন্তানের পিতা। তারপরই ওই তরুণী কথা বলা বন্ধ করে দেন।

কিন্তু পরে ওই তরুণীকে ডেকে পাঠান আখলাক। অভিযোগ, সেখানে আখলাকের পিতা তাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রস্তাব দেন এবং আখলাককে বিয়ে করতে বলেন। কিন্তু ওই তরুণী রাজি হননি। তাতে ক্ষেপে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন আখলাক এবং তাঁর পিতা মহম্মদ মঈন। একটি ঘরে আটকে রেখে চলে শারীরিক নির্যাতন। পরে তাকে ছেড়ে দেন আখলাক। বেরিয়ে এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আখলাক এবং তাঁর পিতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেটার নয়ডার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দীনেশ কুমার সিং বলেন, ‛ওই তরুণীর উপরে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। ভয় ও হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।’