গত ৩রা জুন, ২০২৩ তারিখে জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নেপাল। সেই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে দেশে হিন্দুর সংখ্যা কমেছে। আর খ্রিস্টান এবং মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে নেপালে হিন্দু জনসংখ্যা ৮১.১৯%।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ সালের জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮১.৩০% ছিল হিন্দু, বৌদ্ধ ছিল ৯%, ৪.৪% ছিল মুসলিম এবং খ্রিস্টান ছিল ০.১%।
কিন্তু ২০২৩ সালে প্রকাশিত জনগণনার রিপোর্ট অনুযায়ী, হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মের মানুষের সংখ্যা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। হিন্দুর সংখ্যা কমেছে ০.১৯% এবং বৌদ্ধর সংখ্যা কমেছে ০.৭৯%। অপরদিকে মুসলিম জনসংখ্যা ৪.৪% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৫.০৯%। খ্রিস্টান জনসংখ্যা ০.১% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১.৭৬%। আর মুসলিম ও খ্রিস্টান জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে গত ১০ বছরে।
আর এভাবে খ্রিস্টান জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য খ্রিস্টান মিশনারীদের দায়ী করছেন অনেকে। নেপালের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে হিন্দু প্রধান এলাকাগুলিতে খ্রিস্টান মিশনারীদের কার্যকলাপ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটনের নামে বিদেশ থেকে আসা খ্রিস্টান মিশনারিরা গ্রামাঞ্চলের হিন্দু এবং বৌদ্ধদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে। আর এর ফলেই বৃদ্ধি পেয়েছে খ্রিস্টান জনসংখ্যা।
অন্যদিকে নেপালে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির জন্য অত্যধিক জন্মহার এবং মুসলিমদের অনুপ্রবেশকে দায়ী করছেন অনেকে। ভারতের সীমান্তবর্তী নেপালের জেলাগুলিতে প্রচুর মসজিদ ও মাদ্রাসার নির্মাণ, মুসলিমদের জনবসতি বেড়ে যাওয়া সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। কিন্তু অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নেপালের সরকারের তেমন উদ্যোগ না থাকায় অনুপ্রবেশকারীদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে নেপাল।
Image Credits: OpIndia