মহারাষ্ট্রের নান্দেড় জেলায় গো-রক্ষককে হত্যা করার ঘটনায় ৪ মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতরা হলো ইসাক শেখ, আমের শেখ, শেখ মুজাহিদ এবং শেখ ফাইয়াজ। ধৃতদের ২৭শে জুন পর্যন্ত পুলিশ কাস্টডিতে পাঠিয়েছে কিন্বাত এর এক আদালত।
জানা গিয়েছে, গত ১৯শে জুন রাতে আপ্পারাওপেঠ গ্রামের কাছে একটি বোলেরো পিক আপ গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। শিবনি এলাকার গো রক্ষকদের একটি দল গাড়িটির কাছে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে। সেই সময় গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ১০ থেকে ১২ জন যুবক লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে গো রক্ষকদের আক্রমণ করে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গো রক্ষক শেখর রাপেল্লির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় ইসলাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়।
ঘটনায় প্রথম দিকে পুলিশ ততটা গুরুত্ব না দিলেও গো রক্ষকদের হত্যার ঘটনায় পুরো জেলা জুড়েই ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায় হিন্দুদের মধ্যে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ এবং বিক্ষোভে সামিল হন হিন্দুরা। অনেকেই মহারাষ্ট্র থেকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে গরু পাচারের ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হন। তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
অভিযুক্ত গরু পাচারকারীদের ধরতে বিশেষ দল গঠন করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। তারপরই ৪ জন মুসলিম দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ, এমনটাই খবর। দুষ্কৃতীদের ধরতে তেলেঙ্গানায় একটি দল পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে গো হত্যা নিষিদ্ধ। কিন্তু একাধিক চক্র মহারাষ্ট্র থেকে গরু নিয়ে পার্শ্ববর্তী তেলেঙ্গানা কিংবা অন্যান্য রাজ্যে পাচার করে দেয়। তারপরেও গো রক্ষকদের ‘সাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দেওয়া হয়। একদল মানুষ এমনও প্রচার করেন যে নিরীহ মুসলিমরা গাড়িতে করে গরু নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু গো রক্ষকরা তাদের অত্যাচার করছে।