দিল্লী: প্রেমে অন্ধ হিন্দু তরুণীকে খুন করে মাটির নিচে পুঁতে দিয়েছিল প্রেমিক সেলিম, উদ্ধার করলো পুলিশ



Updated: 26 October, 2024 8:19 am IST

লাভ জিহাদের বলি হলেন এক হিন্দু তরুণী। এবার ঘটনা দিল্লির। নিজের মুসলিম নাম ও ধর্ম পরিচয় গোপন করে সোনিয়া নামে এক হিন্দু ধর্মের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। সেলিম পরে ঘনিষ্ঠতার কারণে ওই হিন্দু তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলে খুন করে সেলিম। দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত সেলিম ও তাঁর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে।

জানা গিয়েছে ওই হিন্দু তরুণী, দিল্লির নাংলোই এলাকার বাসিন্দা। ওই হিন্দু তরুণীর সঙ্গে সঞ্জু নামে এক যুবকের পরিচয় হয় কয়েক মাস আগে। ওই হিন্দু তরুণী সঞ্জুর আসল পরিচয় না জেনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, প্রেম চলাকালীন দুজনের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হয়। ইতিমধ্যেই গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই হিন্দু তরুণী। তারপর থেকেই সঞ্জুকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন সে। শেষমেষ, গত ২০ শে অক্টোবর করবা চৌথ-এর দিন সেলিম ওই হিন্দু তরুণীকে ডেকে পাঠায়। তারপর নিজের দুই বন্ধুর সঙ্গে মিলে ওই হিন্দু তরুণীকে খুন করে দেহ মাটির নিচে পুঁতে দেয়। 

গত একুশে অক্টোবর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে ওই তরুণীর পরিবার। অভিযোগ করার সময় ওই তরুণীর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছিল যে তাদের মেয়েকে অপহরণ করা হতে পারে। তারা পুলিশকে এও জানিয়েছিল যে ‘সঞ্জু’ নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের মেয়ের। মোবাইলে থাকা ফোন নাম্বারের সূত্র ধরে সঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু প্রাথমিক জেরায় পুলিশকে সঞ্জু জানায় যে তাঁর আসল নাম সেলিম। সে নিজের মুসলিম নাম ও পরিচয় গোপন করে সোনিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। সোনিয়ার খোঁজ পেতে সেলিমকে জেরা শুরু করে পুলিশ। সেলিম জানায় যে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো সোনিয়া, তাই সে তাকে খুন করেছে। 

জেরায় সেলিম জানায় যে খুনের পর সে ও তাঁর দুই বন্ধু মিলে ওই হিন্দু তরুণীর দেহ মাটির নিচে পুঁতে দিয়েছে। সেই মতো রোহতাক এলাকায় ছয় ফুট মাটি খোঁড়ার পর হিন্দু তরুণী সোনিয়ার দেহের খোঁজ পায় পুলিশ।

ছবি: দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

জেরায় সেলিম জানায় যে সোনিয়া গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলো। তাই সোনিয়াকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, করবা চৌথের দিনটিকে বেছে নেয় সে। সেলিম জানায় যে করবা চৌথের দিন তাকে বিয়ে করবে। এমনকি সোনিয়াকে ব্রতের উপবাস রাখতে বলে সেলিম। প্রেমে অন্ধ  সোনিয়া বিশ্বাসও করে বসে সেলিমকে। বিয়ের স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি সোনিয়া। 

খুন হওয়া ওই হিন্দু তরুণীর দাদা ও পরিবারের লোকের মতে ওই যুবকের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে ফোনে কথা বলতো সোনিয়া। সেলিমের নম্বর ফোনে ‘ভূত’ নামে সেভ করে রেখেছিল সোনিয়া। এমনকি ইন্সটাগ্রামে একাধিক রিল শেয়ার করেছিল সে। বাড়ির লোক বারবার বাধা দেওয়া সত্বেও সেসবে কান দেয়নি সোনিয়া। বেপরোয়া হয়েই সেলিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছিল সে। শেষমেষ খুন হতে হলো তাকে।