জিহাদি মডিউল: শিলিগুড়ি করিডোরে হামলার ছক ছিল ধৃত জঙ্গিদের



Updated: 21 December, 2024 1:49 pm IST

Hindu Voice Desk: আসাম এসটিএফের অভিযানে আসাম, কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদিদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। নাশকতার মাধ্যমে ভারতে অশান্তি ছড়ানো ও শিলিগুড়ি করিডোরকে ভারত থেকে আলাদা করার পরিকল্পনা করেছিল ধৃত জঙ্গিরা।

ধৃতরা সকলেই নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের স্লিপার সেলের সদস্য। নতুন সদস্য সংগ্রহ ও অস্ত্র জোগাড় করার কাজ করছিল ধৃতরা। এরা সকলেই কেরালায় বসবাস করা বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী মহম্মদ সাদ রাডির নির্দেশে একাধিক রাজ্যে গোপন বৈঠক করেছে।

গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন যে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে এই গোষ্ঠীর জাল ছড়িয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটায় একাধিকবার বৈঠক করেছিল ধৃতরা। সকলেই বাংলাদেশে বসে থাকা জিহাদি গোষ্ঠীর মাথার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই কাজ করে চলতো।

এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ আব্বাস আলী মাদ্রাসা খুলে ছাত্রদের পড়ানোর কাজ করত। মাদ্রাসায় পড়ানোর আড়ালে জিহাদি কাজকর্ম করতো সে। আরও কাউকে সে জিহাদি গোষ্ঠীতে ঢুকিয়েছে কিনা, তা এখন খোঁজার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ক্ষমতায় বসেই জিহাদি কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেই সময় মুক্তি পান আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান জসীমউদ্দীন রহমানী। তারপরই নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠে জিহাদি গোষ্ঠীর স্লিপার সেলের সদস্যরা। তারই প্রভাবে ভারতের সেভেন সিস্টার্স দখল করার ঘন ঘন হুমকি শোনা যেতে থাকে বাংলাদেশে। সেসব আওয়াজ যে মোটেও ফাঁকা ছিল না, এই গ্রেপ্তারি তারই প্রমাণ।