বাংলাদেশ থেকে মুসলমানদের অনুপ্রবেশের পিছনে যে বিরাট বড় চক্র কাজ করছে, নতুন একটি ঘটনায় তা প্রমাণ হলো। গুজরাটে গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্যক্তিকে জেরা করে এবং তাঁর কাছ থেকে পাওয়া নথি দেখে রীতিমত চমকে উঠেছেন সে রাজ্যের গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, গতকাল গুজরাটের সুরাত থেকে এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেপ্তার করার পর ওই ব্যক্তি নিজেকে হিন্দু দাবি করে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ হিসেবে ওই ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামের একটি মাদ্রাসার সার্টিফিকেট দেখায় পুলিশকে।
ওই যুবক জানায় যে তাঁর নাম শুভ দাস। সে নদীয়া জেলার বাসিন্দা বলে জানায়। কিন্তু গুজরাটের গোয়েন্দারা এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন যে ওই যুবক মিথ্যে বলছে। কারণ এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
পরে লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে ওই যুবক স্বীকার করে যে সে বাংলাদেশি। তাঁর নাম মিনার হিমায়াত সর্দার। কিন্তু কিভাবে একজন বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ভারতের মাদ্রাসা(Madrasa) থেকে সার্টিফিকেট জোগাড় করলেন, তা ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। গুজরাটে বাংলাদেশি মুসলমানদের ঘাঁটি গেড়ে থাকা এবং একের পর এক গ্রেপ্তারের ঘটনায় শুরু হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। গুজরাট সরকারের একাধিক মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিও দিয়েছেন। অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষার বাড়বাড়ন্ত এবং মাদ্রাসায় নজরদারি না থাকাকে দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের যে মাদ্রাসা থেকে সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন ওই বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী, সেই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছেন অনেকেই।