দিল্লীর শাহবাদ ডেয়ারী এলাকায় হিন্দু নাবালিকা সাক্ষী হত্যার ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন তুলেছিল। প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো, তারপর কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে বারবার আঘাত করা, এমন নৃশংসতা চোখে দেখাও কষ্টকর। কিন্তু দিল্লীর সেই ঘটনা অনেক প্রশ্ন সামনে এনেছে।
খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মুসলিম যুবক সাহিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবককে লাগাতার জেরা করছে পুলিশ।
জেরায় জানা গিয়েছে যে সাহিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাক্ষীর। ঘটনার দিন সে তাঁর এক বন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। সেই সময় পথ আটকে দাঁড়ায় সাহিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় সাক্ষীকে। প্রায় ২০ বারের বেশি কোপানো হয় সাক্ষীকে। পরে কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে থেতলে দেওয়া হয় সাক্ষীকে।
পুরো ঘটনার ভিডিও রেকর্ড হয় একটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। আর সেই ভিডিও সামনে আসার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে যখন সাক্ষীকে হত্যা করা হচ্ছিলো, সেসময় আশেপাশের পথচারীরা ভাবলেশহীনভাবে চলাফেরা করছিলেন। কেউ কেউ আবার ছিলেন নীরব দর্শক। কেউ একবারের জন্য হত্যাকারীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেননি।
তাছাড়া, সিসিটিভি ফুটেজে একটি বিষয় দেখা গিয়েছে, যা হৃদয়বিদারক। সাক্ষীকে যেসময় এলোপাথাড়ি কোপ মারছিল, সেই সময় একবার ছুরি সাক্ষীর মাথায় আটকে যায়। ছুরি টেনে বের করে ফের নৃশংসভাবে কোপ মারতে শুরু করে সাহিল।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাক্ষীকে খুনের পর উত্তর প্রদেশে পালিয়ে গিয়েছিল সাহিল। পরে বুলন্দশহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাহিল পেশায় একজন এসি ও ফ্রিজের মেকানিক।
প্রসঙ্গত, দেশজুড়ে লাভ জিহাদ(Love Jihad)-এর ঘটনা থামার নামগন্ধ নেই। বিশেষ করে দুটি ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে। লাভ জিহাদের শিকার হওয়া হিন্দু মেয়েরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার পরেও নৃশংসভাবে মরতে হচ্ছে। অন্যদিকে যেসব হিন্দু মেয়েরা লাভ জিহাদের ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে চাইছেন, তাদেরকেও খুন করা হচ্ছে নৃশংসভাবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার লাভ জিহাদের ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে চাওয়া হিন্দু মেয়েদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে হিন্দু মেয়েরা আর নিরাপদ নয় এই দেশে, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
CLICK HERE to read the original Story