এক হিন্দু পুরোহিতকে খুনের ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত বিহারের গোপালগঞ্জের একাধিক এলাকা। বিক্ষুব্ধ জনতা একাধিক স্থানে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর একটি মন্দিরে পুরোহিত হিসেবে কর্মরত মনোজ কুমার শাহের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর দেহ দেখেই চমকে ওঠেন অনেকে। মৃতদেহের সর্বত্র নৃশংসতার চিন্হ ছিল। গলার কাছে গুলি করা হয়েছে। দুটি চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। জিভ কেটে নেওয়া হয়েছে। শরীরের একাধিক স্থানের চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি ওই হিন্দু পুরোহিতের যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, গত ১১ই ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন মনোজ। সেই দিনই মাঝাগঞ্জ থানায় নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট দায়ের করেন মনোজের দাদা। কিন্তু পুলিশ শুধুই মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু মনোজকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেননি, অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। শেষ মেষ এলাকার একটি ঝোপ থেকে ওই পুরোহিতের দেহ উদ্ধার হয়।
দেহ উদ্ধার এবং নৃশংসতার খবর ছড়িয়ে পড়ায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ক্ষুব্ধ হিন্দু জনতা লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন। অনেকে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে ক্ষুব্ধ জনতাকে আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
অনেকের অভিযোগ, ওই পুরোহিত মন্দিরে নিয়মিত পূজা অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। মন্দিরে নিয়মিত ভজন হতো। আর এসব নিয়ে বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজনের আপত্তি ছিল। সেই থেকে এই খুন হতে পারে।
অন্য মহলের দাবি, রাজনৈতিক কারণে এই খুন হতে পারে। মনোজের দাদা বিজেপি নেতা এবং মন্ডল সভাপতি পদে রয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হয়তো ওই পুরোহিতকে খুন করা হতে পারে।
তবে ঘটনায় ইতিমধ্যে FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিশেষ তদন্তকারী দল(SIT) গঠন করা হয়েছে।
কিন্তু খুনের নৃশংসতা ভাবাচ্ছে সবাইকে।