এক আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশের রাঙামাটি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষজন।
অভিযোগ, গণধর্ষণের শিকার ওই নাবালিকার বয়স ১৭ বছর। সে এসএসসি পরীক্ষার্থী। কয়েকদিন আগে বাড়িতে তল্লাশি চালানোর নাম করে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে বাংলাদেশ সেনার ৬ জন মুসলিম সদস্য। নির্যাতনের কারণে ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সেনা সদস্যরা সকলেই কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের মাটিঙ্গাছড়ি সেনা ক্যাম্পের। ধর্ষিতা নাবালিকা ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
কিন্তু ধর্ষক সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। আর এই খবর জানাজানি হলেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাঙামাটি জেলা। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আদিবাসী জনতা। জেলার প্রায় সর্বত্র বিক্ষোভ মিছিল বের হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার দাবি তুলছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ওই নাবালিকা মারমা সম্প্রদায়ের। তবে আদিবাসীদের এই বিক্ষোভে অন্যান্য আদিবাসী গোষ্ঠীর মানুষজন বিশাল সংখ্যায় যোগ দেওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
তবে রাঙামাটি ও পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সদস্য দ্বারা আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২২শে জানুয়ারি তারিখে দুই আদিবাসী বোনকে ধর্ষণ করেছিল সেনা সদস্যরা। ওই দুই বোন বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের ওড়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা। সেই ঘটনার আজ পর্যন্ত বিচার হয়নি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ১২টি ঘটনা ঘটেছে। ২টি ঘটনা ছাড়া কোনও ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।