বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে ইসলামিক মৌলবাদীদের অত্যাচার অব্যাহত। এবার কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এক হিন্দু পরিবারের উপরে হামলা চালালো ইসলামিক মৌলবাদীরা। সেই হামলায় ওই হিন্দু পরিবারের দুই সদস্যের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই হিন্দু পরিবারের মন্দিরেও হামলা চালিয়েছে ইসলামিক মৌলবাদীরা।
জানা গিয়েছে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত দফাদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাগর চন্দ্র দাস। বাবা-মা ও স্ত্রীকে নিয়েই তাঁর সংসার।
অভিযোগ, গত ৮ই সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ পাশের বকুলতলা গ্রামের একদল ইসলামিক মৌলবাদী সাগর চন্দ্র দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায় তাঁরা। বাধা দেওয়ায় সাগর দাসের পিতা নারায়ণ চন্দ্র দাস(৫৫)-কে বেধড়ক মারধর করে। অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর মা বালামনি(৪০) এবং স্ত্রী সান্তনা রানী(২০)। দুজনকে মারধর করে কাপড় খুলে নেয় ইসলামিক মৌলবাদীরা। ওই রাতেই আহত বাবা-মা ও স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন সাগর।
পরের দিন সাগর দাস চিলমারী মডেল থানায় ইসলামিক মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে সাগর জানিয়েছেন যে দুষ্কৃতীরা তাঁর পরিবারের সদ্যসরা মারধর করেই ক্ষান্ত হননি। তাঁর স্ত্রীর গলার সোনার চেন, বাড়ির ভিতরে থাকা নগদ এক লাখ টাকা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গিয়েছে। লিখিত অভিযোগে পাশের গ্রামের বাসিন্দা মোমিনুল ইসলাম,ইব্রাহিম আলী, জামিনুল ইসলাম, আব্দুল লতিফ, জনি মিঞা এবং আমিনুল ইসলামের নাম উল্লেখ করেছেন।
জানা গিয়েছে, পাশের গ্রামের কয়েকজন মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে পূর্বে শত্রুতা ছিল। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা সেইসব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারই মাঝে হামলার শিকার হলেন সংখ্যালঘু হিন্দু সাগর দাসের পরিবার।