জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো বাংলাদেশ



Updated: 02 August, 2024 10:07 am IST

সদ্য ঘটে যাওয়া দেশব্যাপী হিংসার পর বড়সড় পদক্ষেপ নিলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার। ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো দেশটির সরকার।

নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে দেশজুড়ে মৌলবাদী চিন্তাভাবনার বিস্তার ঘটানো, হিংসা ছড়ানো ও হিংসায় মদত, মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার বিরোধী প্রচারের কারণে সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন শেখ হাসিনা। সে জন্য সংসদে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।

গতকাল অর্থাৎ ১লা আগস্ট, বৃস্পতিবার, সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠন দুটিকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন শেখ হাসিনা।

এদিকে সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয় প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। সে কথা মাথায় রেখে দেশজুড়ে নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। বিশেষ কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনরকম হিংসা না ছড়িয়ে পড়ে, সেদিকেও নজর রাখছে নিরাপত্তাবাহিনী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোটা বিরোধী আন্দোলন ঘিরে ব্যাপক হিংসা দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশ জুড়ে। আগুন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বিবৃত হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ সরকার। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। হিংসার কারণে বাংলাদেশের সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক কয়েকশো কোটি টাকার। হিংসার ধরণ দেখে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছিলেন যে ছাত্রদের আন্দোলনে জামাত ও শিবিরের মত মৌলবাদী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। তারপরেই বাংলাদেশ সরকারের এমন পদক্ষেপ।