বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে ইসলামিক মৌলবাদীদের নির্যাতন অব্যাহত। এবারে এক হিন্দু মহিলাকে গণধর্ষণ করলেন এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর সঙ্গীরা। ঘটনা মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। এদিকে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর সঙ্গীরা।
জানা গিয়েছে, গত ২৯শে জুন, বকরী ঈদের দিন ওই হিন্দু মহিলা কুলাউড়ার হাজীপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সন্ধার দিকে ওই মহিলাকে বাড়িতে রেখে বাজারে যান তাঁর আত্মীয়।
ওই মহিলার অভিযোগ, সেই সময়ে বাড়িতে একা ছিলেন। একা থাকায় বাড়ির দরজা বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। অভিযোগ, ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে ছালিক বক্স, হাসানুল বারি সানি এবং সাইফুর রহমান। ওই মহিলাকে পরপর তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় এবং পরে ভিডিও রেকর্ড করে তিনজন। পরে তিনজন ওই মহিলার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
তখন ওই মহিলা তাঁর আত্মীয়কে ফোন করে ডাকেন। তাঁর আত্মীয় ওই তিনজনকে ৫০, ০০০ টাকা দেয়। তখন সেখান থেকে চলে গেলেও পরে আবার টাকা দাবি করে তিন জন। তখন বাধ্য হয়ে কুলাউড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গণধর্ষণের শিকার ওই মহিলা।
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গণধর্ষণে অভিযুক্ত তিন জনই আওয়ামী লীগের পরিচিতি নেতা। ছালীক বক্স ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত এবং হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বক্সের ছোট ভাই। সাইফুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা এবং ১১ নং শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। হাসানুল বারি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী এবং ছালিক বক্সের ঘনিষ্ঠ।
ঘটনার বিষয়ে কুলাউড়া থানার ওসি আব্দুল ছালেক বলেন, “তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। ধর্ষণের শিকার ওই মহিলাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার আড়াইশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
কুলাউড়া থানার অফিসার তথা কেসের তদন্তকারী অফিসার রতন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, “এ মামলার আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।”