আসাম: সোনাপুরে উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া পুলিশের উপরে হামলা চালালো মিঞা মুসলিমরা



Updated: 17 September, 2024 7:59 am IST

আসামের মাটিতে মিঞা মুসলিমদের আগ্রাসন অব্যাহত। সরকারি জমি দখল করে বসবাস করা ও আদিবাসীদের জমি দখল করা ইত্যাদির মত ঘটনা আসামের একাধিক জেলায় লক্ষ্য করা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে তেমনি দখল করা জমি উদ্ধার করতে গিয়ে উত্তেজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় আসামের সোনাপুরে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু’জনের। আহত হন ১৩ জন পুলিশ কর্মী ও প্রশাসনের লোকজন। 

জানা গিয়েছে আসামের সোনাপুরের বিভিন্ন এলাকায় আদিবাসীদের জমি দখল করে বস্তি গড়ে তুলেছিলেন মিয়া মুসলিমরা। মূলত আসামের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলি থেকে এসেছিলেন তাঁরা। সেই সমস্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিলেন স্থানীয় আদিবাসী লোকেরা। সেই দাবি অনুযায়ী গত ১২ ই সেপ্টেম্বর পুলিশ ও প্রশাসনের একটি দল দখলদারদের উচ্ছেদ করতে যায়। তখনই তাদের উপরই ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় মিঞা মুসলিমরা। তাহলে অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দুইজনের। 

এদিকে এই ঘটনা ঘিরে আসামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। স্থানীয় আদিবাসী সংগঠনগুলি একযোগে দাবি তুলতে থাকেন যে অবৈধ মিঞা মুসলিমদেরকে এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। সেই দাবী সামনে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান যে খুব শীঘ্রই প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তারপরেই দেখা যায় যে বেশ কিছু মুসলমান বাসিন্দা নিজেদের ঘর নিজেরাই ভেঙ্গে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া তারপরের দিনই শুরু হয় বুলডোজার অভিযান। একাধিক অবৈধ দখলদারদের বস্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। 

তারপরই গতকাল আদিবাসী সংগঠনগুলি মিলিতভাবে একটি মিছিলের আয়োজন করে সোনাপুরে।  সেই মিছিল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ধন্যবাদ জানানো হয়। আদিবাসী নেতারা বলেন যে এলাকায় নিয়া মুসলিমদের বস্তি থাকার কারণে অপরাধ বাড়ছিল বিশেষ করে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে আদিবাসীদের জমি জোর করে দখল করা মতো ঘটনা ঘটেছে দেরিতে হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁরা খুশি বলেও জানিয়েছেন।