বকরী ঈদের দিন সকালে হিন্দু ও মুসলিমের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসামের শিলচর শহরের পঞ্চায়েত রোড এলাকা। সেই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন হিন্দু আহত হন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। যদিও দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করেনি। তাছাড়া পুলিশের তরফে শান্তি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। আর তারপরই এলাকায় পৌঁছে যান শিলচরের বিজেপি বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। আর তাঁর করা ঘোষণার পরই ক্ষুব্ধ হিন্দুরা।
বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে যান এবং মসজিদ কমিটির সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তারপরেই ঘোষণা করেন যে মসজিদ কমিটিকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। সেই টাকায় মসজিদ কমিটি একটি কমিউনিটি হল নির্মাণ করবে।
মুসলিম সম্প্রদায়কে ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়ে চক্রবর্তী বলেন, “আমি উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই এবং বিষয়টির সমাধান করতে চাই। আসুন আমরা সকলে মিলে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখি”।
এছাড়াও, তিনি মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তৎকালীন ৫০,০০০ টাকা দেন। তিনি এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে ফের আসার কথাও জানান।
আর বিধায়কের এমন ঘোষণার পর ক্ষোভ ছড়িয়েছে হিন্দুদের মধ্যে। সংঘর্ষে হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হলেও শুধুমাত্র মসজিদ কমিটিকে বড়ো অঙ্কের টাকা কেনো দেওয়া হলো, এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকে। আহত হিন্দুদের সঙ্গে কেনো দেখা করলেন না বিধায়ক, সে প্রশ্নও অনেকের মুখে।
প্রসঙ্গত, ঈদের দিন সকালে হিন্দু ও মুসলিমের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পঞ্চায়েত রোড এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পরিস্থিতি। দোষীদের গ্রেপ্তার করার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার নুমোল মহাত্মা।