বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে মুসলিমদের অনুপ্রবেশ যে একটি বিরাট সমস্যা, তা ফের একবার প্রমাণ হলো। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে থেকে সহজেই বিভিন্ন নথিপত্র বানিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। তেমনই একটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহর থেকে।
খবর অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে আহমেদাবাদ শহর থেকে একজন বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই বাংলাদেশী মুসলিম ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তাকে জেরা করে এবং তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া নথিপত্র দেখে হতবাক পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ আবুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট দুটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে, একটি বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং একটি ভারতীয় পাসপোর্ট। এছাড়াও, ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড ও অন্যান্য নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে।
জেরায়, ওই বাংলাদেশী জানায় যে ২০০১ সালে ভারতে ঢুকে পড়ে সে। চলে আসে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে। কাজ কাজ করতে করতে স্থানীয় এক মুসলিম যুবতীকে বিয়ে করে। তাদের বর্তমানে তিন সন্তান রয়েছে। তারপর ২০১৫ সাল নাগাদ ভারতের সব নথিপত্র বানায় সে। পরের বছর পাসপোর্ট বানায় সে।
জেরায় সে আরও জানায় যে স্থানীয় এক এজেন্টের মাধ্যমে পাসপোর্ট বানিয়েছে সে। পাসপোর্ট বানাতে ওই এজেন্টকে তিরিশ হাজার টাকা দিতে হয় তাকে। মহম্মদ জানায় যে সে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বানিয়েছিল।
আপাতত, ওই ব্যক্তিকে পাসপোর্ট বানাতে সাহায্য করা ব্যক্তিদের খুঁজছে পুলিশ।