গোধরা কাণ্ডের পরবর্তী সময়ে দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ জন হিন্দুকে বেকসুর খালাস করলো আদালত। বিচারক বলেন যে প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের খালাস করা হলো। গতকাল ২৪শে জানুয়ারি, মঙ্গলবার পঞ্চমহল জেলার হালোল-এর আদালত এই নির্দেশ দেয়।
অভিযুক্ত হিন্দুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে গোধরা পরবর্তী সময়ে চলা দাঙ্গায় দেলোল গ্রামের ১৭ জন মুসলিম বাসিন্দাকে খুন করেছেন তাঁরা। সেই অভিযোগে মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিচার চলাকালীন জেলে বন্দী অবস্থায় ৮ জনের মৃত্যু হয়। এত দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করতে পারেনি পুলিশ। তাই আদালত জীবিত ১৪ জনকে বেকসুর খালাস করার আদেশ দেন।
যে ১৪ জন জীবিত হিন্দুকে বেকসুর খালাস করার আদেশ দিয়েছে, তাঁরা হলেন মুকেশ ভারওয়াড়, কিল্লোল জানি, অশোকভাই প্যাটেল, নীরব কুমার প্যাটেল, যোগেশ কুমার প্যাটেল, দিলিপসিং গোহিল, দিলীপ কুমার ভাট, নসিবদার রাঠোর, অলকেশ কুমার ব্যাস, নরেন্দ্র কুমার কাচ্ছিয়া, জিনা ভাই রাঠোর, অক্ষয় কুমার শাহ, কীর্তি ভাই যোশী এবং সুরেশ ভাই প্যাটেল।
রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি হর্ষ বালকৃষ্ণ ত্রিবেদী বলেন যে যে ১৭ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাঁর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে মারা যাওয়া কোনও ব্যক্তির দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ এত বছরে পুলিশ এটা প্রমাণ করতে ব্যার্থ হয়েছে যে ঘটনার দিন অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এই কারণে অভিযুক্তদের সকলকে বেকসুর খালাস করার আদেশ দেন বিচারপতি।