আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেপ্তার হলো জিহাদী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে(ISIS)- এর দুই শীর্ষ নেতা। ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিল। বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ধৃতরা হলো হারিস ফারুকী ও রেহান। দুজনেই উচ্চ শিক্ষিত। এদের মধ্যে হারিস ফারুকী আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং দেরাদুনের বাসিন্দা।
অন্য জিহাদী রেহান পানিপথের বাসিন্দা। রেহান পূর্বে হিন্দু ছিল এবং তাঁর নাম ছিল অনুরাগ সিং। ইসলামিক স্টেটের জিহাদীদের ফাঁদে পড়ে সে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়। পরে জিহাদের ট্রেনিং নিতে বাংলাদেশে যায়। পরে সেখানেই একজন বাংলাদেশী তরুণীকে বিয়ে করে থাকতে শুরু করে।
আসাম পুলিশের টাস্ক ফোর্সের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুজনেই ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জিহাদী হামলা ঘটানোর ছক কষেছিল। শুধু তাই নয়, একাধিক মামলায় দুজনে অভিযুক্ত। তাদের দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছিলেন NIA- এর গোয়েন্দারা। কিন্তু বছর দুয়েক আগে দুজনেই অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।
কিছুদিন আগে NIA আসাম পুলিশকে জানায় যে ওই দুই জিহাদী আসামে প্রবেশ করেছে। সেই মতো আসামের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিশেষ নজরদারি শুরু করে আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(STF)।
নজরদারি চালানোর সময় ধুবড়ি জেলার ধর্মশালা এলাকায় ওই দুই জিহাদীকে চিহ্নিত করেন গোয়েন্দারা। তাদের তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করে গুয়াহাটি নিয়ে আসা হয়।