২০২৪: পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নির্যাতনের বার্ষিক রিপোর্ট



Updated: 30 January, 2025 2:34 pm IST
Image: Hindu Persecution Report of West Bengal
Image: Hindu Persecution Report of West Bengal

© Hindu Voice Team

২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুদের উপরে বহু অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু প্রথম সারির সংবাদ পত্র এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সেসব প্রকাশ করে না, তাই সেই সব ঘটনা মানুষের কাছে পৌঁছায় না। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণেও যদিও বা কিছু মানুষের কাছে পৌঁছায়, কিন্তু আত্মভোলা বাঙ্গালী হিন্দু তা সহজেই ভুলে যায়। সেই সব ঘটনা, সেই সব অত্যাচারিত মানুষের কথা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতেই আমাদের তরফে এই উদ্যোগ।

যেহেতু প্রথম সারির প্রচিলত মিডিয়া প্রতিষ্ঠাগুলি হিন্দুদের উপরে হওয়া অত্যাচারের খবরগুলো প্রকাশ করে না, তাই অনেকের মনে এই রিপোর্ট সম্বন্ধে সন্দেহ জগতে পারে। কিন্তু নিম্নে উল্লেখিত সমস্ত ঘটনা সঠিক এবং ঘটনার ভিডিও ও ছবি আমাদের ‘X’ হ্যান্ডেলে(https://x.com/HinduVoice_in) রয়েছে। আপনারা চাইলেই তা দেখে নিতে পারেন।

জানুয়ারি

১। মালদহ(০৩-০১-২০২৪): ‘বীরনগর হাই স্কুল’ -এর শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন স্কুলের কয়েকজন ছাত্রকে ২২শে জানুয়ারির দিন গরুর মাংস খাওয়ার কথা বলেন। উল্লেখ্য, ২২শে জানুয়ারি ছিল অযোধ্যায় শ্রী রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন। এমন ঘৃণা ভরা মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হিন্দু ছাত্ররা এবং স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দাদের একাংশ স্কুলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে ওই শিক্ষক তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।

২। পুরুলিয়া(১৩-০১-২০২৪): পুরুলিয়া জেলার কাশীপুরে তিন জন হিন্দু সাধুকে নগ্ন করে মারধর করা হয়। কিছু দুষ্কৃতী ওই সাধুদের বিরুদ্ধে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই তিন জন সাধুকে উদ্ধার করে। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা ওই তিন জন সাধু গঙ্গাসাগর মেলায় যাচ্ছিলেন।

৩। মুর্শিদাবাদ(২২-০১-২০২৪): ২২শে জানুয়ারি রাতে, নবগ্রাম থানার অন্তর্গত সিঙ্গার গ্রামের একটি কালী মাতা মন্দিরে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরে থাকা কালী মাতার মূর্তি ও ভগবান শিবের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়।

৪। বীরভূম(২২-০১-২০২৪): শ্রী রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় হামলা চালায় বেশ কিছু মুসলিম দুষ্কৃতী। ওই দিন অর্থাৎ ২২শে জানুয়ারি তারিখে বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার থানার অন্তর্গত জেঠুপাড়া গ্রামে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় হিন্দু যুবকেরা। সেই মিছিলে হামলা চালানো হয় এবং পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে।

৫। পশ্চিম মেদিনীপুর(২৮-০১-২০২৪): লাভ জিহাদের শিকার হলেন গড়বেতা থানার অন্তর্গত মোহনপুর গ্রামের হিন্দু তরুণী সীমা সরকার(নাম পরিবর্তিত)।

ফেব্রুয়ারি

১। কোচবিহার(০৩-০২-২০২৪): রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে একটি নির্মীয়মান শ্রী রাম মন্দির ভেঙে দেয় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় হিন্দুরা ভেটাগুড়ি এলাকায় একটি শ্রী রাম মন্দিরের নির্মাণ করছিলেন।

২। মুর্শিদাবাদ(০৪-০২-২০২৪): ৪ঠা ফেব্রুয়ারি রাতে, বহরমপুর শহরে একাধিক নির্মীয়মান সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। আসন্ন সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিমাগুলি নির্মাণ করা হচ্ছিলো।

৩। মালদহ(২১-০২-২০২৪): ইসলামিক মৌলবাদী মহম্মদ আফতাব ওরফে আশফাক কালী মাতার মূর্তিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অন্ধকারের সুযোগে আগুন লাগিয়ে দিলেও স্থানীয় হিন্দুরা ধরে ফেলে আফতাবকে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনা ইংরেজ বাজার থানার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর গ্রামের। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, কালী মাতার মন্দিরটি একশো বছরের বেশি প্রাচীন।

৪। কোচবিহার(২২-০২-২০২৪): নকল আধার কার্ড সমেত ৪ জন ইরানের নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা অবৈধ উপায়ে নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। তাদেরকে কোচবিহার শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মার্চ

১। পূর্ব মেদিনীপুর(০৩-০৩-২০২৪): কোলাঘাট থানার অন্তর্গত পাওয়ার হাউস এলাকায় শ্রী হনুমান মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। রাতের অন্ধকারের সুযোগে শ্রী হনুমানের মূর্তিতে ভাঙচুর চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে ইঁট দিয়ে মূর্তিটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মূর্তিটি কংক্রিটের হওয়ার কারণে তেমন বেশি ক্ষতি হয়নি।

২। উত্তর দিনাজপুর(০৮-০৩-২০২৪): ৮ই মার্চ রাতে, করণদিঘী থানার আলতাপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজকুমার দাসের বাড়িতে হামলা চালায় কয়েকশো মুসলিম দুষ্কৃতী। রাজকুমার দাস একজন হিন্দুত্ববাদী হিসেবে এলাকায় পরিচিত এবং বিজেপির সক্রিয় কর্মী। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং রাজকুমার দাসের স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করে। এমনকি বাড়ির মন্দিরটিতেও ভাঙচুর করে।

৩। দার্জিলিং(১১-০৩-২০২৪): সন্দেশখালী কাণ্ডের প্রতিবাদে ডাকা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মিছিলে ব্যাপক লাঠিচার্জ করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। লাঠিচার্জের কারণে মিছিলে থাকা বেশ কয়েকজন আহত হয়।

৪। মুর্শিদাবাদ(২৬-০৩-২০২৪): ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেওয়ায় এক হিন্দু যুবককে আটকে রেখে মারধর করার ঘটনা ঘটে শক্তিপুর থানার অন্তর্গত সোমপাড়া গ্রামে। অভিযোগ, স্লোগান দেওয়ায় কয়েকজন মুসলিম দুষ্কৃতী ওই যুবককে টেনে নিয়ে যায় মসজিদের ভিতরে এবং আটকে রেখে মারধর করে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং ওই যুবককে উদ্ধার করে।

এপ্রিল

১। বীরভূম(০১-০৪-২০২৪): বোলপুর পৌরসভার অন্তর্গত ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুর্গা রায় গুরুতর অভিযোগ করেন জমি মাফিয়া শেখ হাসানের বিরুদ্ধে। ভাইরাল ভিডিওতে ওই মহিলা অভিযোগ করেন যে জমি মাফিয়া হাসানের প্রভাবে পুলিশ তাকে মারধর এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ , স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়ির মন্দির ভেঙে দিয়েছে এবং তাঁর মালিকানাধীন জমি দখল করার চেষ্টা করছে।

২। পূর্ব বর্ধমান(০২-০৪-২০২৪): পূর্বস্থলী থানার অন্তর্গত কাষ্ঠশালী বাজারের মন্দিরে দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসা হরিনাম সংকীর্তন বন্ধ করতে হুমকি দেয় বাজারের এক মুসলিম ব্যবসায়ী। হুমকির পর বন্ধ রাখা হয় হরিনাম সংকীর্তন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়।

৩। কলকাতা(০৬-০৪-২০২৪): ৬ই এপ্রিল সকালে, আনুমানিক সাড়ে এগারোটা নাগাদ, চিৎপুর এলাকার শীতলা মাতার পূজা মণ্ডপে হামলা চালায় একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। পূজা মণ্ডপের পাশে থাকা একটি শ্রী হনুমান মন্দিরেও হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভেঙে ফেলা হয় শ্রী হনুমানের মূর্তি। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, আজানের সময় পূজা মণ্ডপের মাইক বন্ধ রাখতে হুমকি দিয়েছিলো মুসলিম দুষ্কৃতীরা। কিন্তু স্থানীয় হিন্দুরা তাতে রাজি হননি।

৪। মুর্শিদাবাদ(১৩-০৪-২০২৪): ১৩ই এপ্রিল রাতে, শিব ভক্তদের উপরে হামলা চালায় একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। সাটুই এলাকার একটি শিব মন্দিরে হামলা চালিয়ে মূর্তি ভাঙচুর করা হয়।

৫। মুর্শিদাবাদ(১৭-০৪-২০২৪): শ্রী রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে শক্তিপুরে। ইসলামিক মৌলবাদীরা শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথর ছুঁড়তে থাকে। এমনকি, একাধিক বাড়ির ছাদ থেকে শোভাযাত্রায় থাকা শান্তিপ্রিয় রামভক্তদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়।

৬। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(১৯-০৪-২০২৪): শুক্রবারের নামাজের পরই একদল মৌলবাদী জনতা হামলা চালায় মন্দিরবাজার থানার অন্তর্গত চৈতন্যপুর গ্রামে অবস্থিত দেশ গৌরব উচ্চ বিদ্যালয়ে। মৌলবাদীরা স্কুলের কয়েকজন হিন্দু শিক্ষককে মারধর করে এবং স্কুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মে

১। উত্তর ২৪ পরগনা(০৬-০৫-২০২৪): রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সন্দেশখালি এলাকার হিন্দু মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটলো। অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা সরবেড়িয়া গ্রামের শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে থাকা মূল্যবান বিগ্রহ এবং অলংকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

২। বীরভূম(১৭-০৫-২০২৪): লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দলকে সমর্থন করায় হিন্দু জনজাতিদের পানীয় জল থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠলো ইলামবাজার থানার অন্তর্গত মুর্গাবুনি গ্রামে। পরে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের হস্তক্ষেপে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়।

৩। জলপাইগুড়ি(১৮-০৫-২০২৪): ১৭ই মে রাতে, ধুপগুড়ির একাধিক হিন্দু মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। একটি কালী মাতার মন্দির, একটি শ্রী রাম মন্দির এবং একটি হরি ঠাকুরের মন্দিরে হামলা চালানো হয়। তিনটি মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। ১৮ই মে সকালে বিষয়টি স্থানীয় হিন্দুদের নজরে আসতেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। পরে একদল ক্ষুব্ধ হিন্দু খোলাইগ্রাম স্টেশনে গিয়ে রেল অবরোধ করেন।

৪। মুর্শিদাবাদ(২৪-০৫-২০২৪): স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের আপত্তি মেনে নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানের মাইক খুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতেই এমন পদক্ষেপ করে পুলিশ। ঘটনা ডোমকল থানার অন্তর্গত কুমারগ্রাম এলাকার।

৫। নদীয়া(২৯-০৫-২০২৪): ইসলামিক দুষ্কৃতীদের কারণে লোকসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন না দুটি বুথের কয়েকশো হিন্দু ভোটার। হরিণঘাটা ব্লকের অন্তর্গত মোল্লাবেড়িয়া গ্রামের ৯২ নম্বর ও ৯৭ নম্বর বুথের ভোটারদের অভিযোগ, ভোটকেন্দ্র মোল্লাবেড়িয়া গ্রামের বাইরে করা হোক। কারণ অতীতে ভোট দিতে গিয়ে নানারকম অত্যাচারের সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। আলাদা ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা।

জুন

১। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(০৫-০৬-২০২৪): বাসন্তী থানার অন্তর্গত ৭ নং কুমড়াখালী গ্রামের হিন্দু বাসিন্দাদের উপরে হামলা চালায় একদল ইসলামিক দুষ্কৃতী। গ্রামের SC গোষ্ঠীর হিন্দুদের বাড়িঘরে নির্বিচারে ভাঙচুর চালানো হয়। বেশ কয়েকটি বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(০৫-০৬-২০২৪): বাসন্তী থানার অন্তর্গত চড়াবিদ্যা গ্রামের হিন্দুদের উপরে হামলা চালায় একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। হিন্দুদের বাড়িঘর লক্ষ্য করে দেশি বোমা ছোঁড়া হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।

৩। মুর্শিদাবাদ (১৩-০৬-২০২৪): ‘রঘুনাথগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়’-এর একজন শিক্ষক কপালে তিলক না পরে স্কুলে আসার নির্দেশ দেন এক ছাত্রীকে। এমনকি, গলায় তুলসী মালা না পরে স্কুলে আসতে বলেন। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলের সামনে ভিড় করেন স্থানীয় হিন্দুরা। স্কুলের সামনেই হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেন তাঁরা।

৪। মুর্শিদাবাদ(১৮ -০৬ -২০২৪): ১৮ ই জুন সকালে, সামসেরগঞ্জ থানার অন্তর্গত মালঞ্চ গ্রামের হিন্দুদের উপরে হামলা চালায় একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা।

৫। বীরভূম(১৯-০৬-২০২৪): বকরী ঈদের দিনে, কয়েকজন মুসলিম দুষ্কৃতী মাড়গ্রামের একটি হিন্দু মন্দিরে গরুর মাংস ফেলে দিয়ে যায়। স্থানীয় হিন্দুদের কয়েকজন দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করেন এবং একজনকে ধরে ফেলেন। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, মাড়গ্রাম থানার ওসি মহম্মদ মিকাইল মিঞা ধৃতের বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। এর প্রতিবাদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন স্থানীয় হিন্দুরা। পরে অভিযোগ দায়ের করেন ওই পুলিশ আধিকারিক।

৬। হাওড়া(২০-০৬-২০২৪): বাউড়িয়ার একটি শিব মন্দিরের সামনের রাস্তায় একটি ব্যাগে করে গরুর মাংস রেখে পালিয়ে যায় অজ্ঞাতরিচয় দুষ্কৃতীরা। তা স্থানীয়দের নজরে পড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় হিন্দুদের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।

জুলাই

১। পশ্চিম মেদিনীপুর(০৪-০৭-২০২৪): ঘাটাল থানার অন্তর্গত এলাকা থেকে এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে শেখ সাগলিক হোসেনের বিরুদ্ধে। ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে মেয়েকে উদ্ধারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার।

২। বীরভূম(০৪-০৭-২০২৪): মহম্মদবাজার থানার অন্তর্গত কাপাসডাঙ্গা গ্রামের এক হিন্দু তরুণী লাভ জিহাদের শিকার হলেন।

৩। দক্ষিণ দিনাজপুর(০৯-০৭-২০২৪): এক মুসলিম ছাত্রীকে স্কুল ইউনিফর্ম পরে স্কুলে আসতে বলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আশুতোষ পালকে গ্রেপ্তার করে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ওই শিক্ষক অশোকগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ওই মুসলিম ছাত্রীর পরিবারের দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালত ওই শিক্ষককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায়।

৪। মুর্শিদাবাদ(১১-০৭-২০২৪): জিয়াগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত বাটি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কলস যাত্রায় হামলা চালালো একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী মসজিদের সামনের রাস্তা দিয়ে শোভাযাত্রা যাওয়ায় আপত্তি জানায়। ধারালো অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে শোভাযাত্রায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে একজন স্থানীয় মুসলিম ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৭ জন হিন্দুকে গ্রেপ্তার করে। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই পড়েছেন। পুলিশ ৭ জন হিন্দুকে গ্রেপ্তার করে।

৫। বীরভূম(১৩-০৭-২০২৪): চিনপাই স্টেশনে ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুর চালায় একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে ভাঙচুর চালায় তাঁরা। চিনপাই ও দুবরাজপুর স্টেশনের মাঝে ফাঁকা মাঠের মাঝখানে ট্রেন দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছিল তাঁরা।

৬। দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৮-০৭-২০২৪): সুমিতা ঘোষাল(নাম পরিবর্তিত) নামে এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে আফ্রিদি মোল্লা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই হিন্দু নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

৭। কলকাতা(২০-০৭-২০২৪): কেরালার কান্নুরের বাসিন্দা মুজাম্মিল হোসেন লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে কলকাতার এক হিন্দু তরুণীর সঙ্গে। ওই হিন্দু তরুণীকে যৌন নির্যাতন করা হয়। ব্ল্যাকমেল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে নেয় মুজাম্মিল। ওই তরুণীর দাবি, অভিযোগ দায়ের করা সত্বেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

৮। কোচবিহার(২১-০৭-২০২৪): লাভ জিহাদের শিকার হয়ে ঘর ছাড়লেন সন্ধ্যা ভৌমিক(নাম পরিবর্তিত)। মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন তিনি।

৯। কলকাতা(২৩-০৭-২০২৪): প্রেমিকা পূজা চক্রবর্তীকে হত্যা করলেন রুহুল মুবারক। খুনের পর পূজার দেহ বস্তায় ভরে খালের জলে ফেলে দেয় রুহুল মুবারক। পরে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে মুবারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১০। পশ্চিম মেদিনীপুর (২৪-০৭-২০২৪): হিন্দু গ্রামবাসীদের রোগ ভালো করে দেওয়ার নামে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করার অভিযোগ খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে। গড়বেতা এলাকার একাধিক গ্রামের হিন্দু বাসিন্দাদের অভিযোগ , গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে খ্রিস্টান মিশনারিরা। এর বিরুদ্ধে গড়বেতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় হিন্দুরা।

আগস্ট

১। মালদহ(০৩-০৮-২০২৪): লাভ জিহাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করলেন এক বিবাহিতা হিন্দু মহিলা। ওই মহিলার পরিজনদের অভিযোগ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় ভিন্নধর্মী প্রেমিক। পরে মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা।

২। কোচবিহার(২৬-০৮-২০২৪): ৮ বছর বয়সী হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন ৫০ বছর বয়সী খয়বর মিঞা। ঘটনা কোচবিহার জেলার চান্দামারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাজপুর গ্রামের। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খয়বর মিঞাকে গ্রেপ্তার করে।

৩। নদীয়া(২৯-০৮-২০২৪): নদীয়া জেলার বগুলার কুটিপাড়া রেল গেটের কাছে এক হিন্দু তরুণীর নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই তরুণীর মৃতদেহ রেল লাইনের উপরে পড়ে ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণের পরে খুন করে দেহ রেল লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

৪। কোচবিহার(০৩-০৮-২০২৪): তৃণমূলের মিছিলে যোগ না দেওয়ায় কলেজের বেশ কয়েকজনকে শাস্তি দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আমির আলম। ১৩ জন ছাত্রীকে শৌচাগারে আটকে রাখেন আমির আলম। অন্নপূর্ণা বর্মণ নাম এক হিন্দু ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে তাকে হাসপাতাল ভর্তি করতে হয়।

সেপ্টেম্বর

১। উত্তর ২৪ পরগনা(০২-০৯-২০২৪): মৌলবাদীদের নির্যাতন থেকে বাঁচতে একটি বাংলাদেশী হিন্দু পরিবার ভারতে চলে আসে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের জঙ্গল দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ঢুকে পড়েন। অনুপ্রবেশের অভিযোগে ১১ সদস্যের হিন্দু পরিবারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২। হুগলী(০৬-০৯-২০২৪): ৬ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। গণধর্ষণের পর ওই নাবালিকাকে অন্ধকার রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

৩। উত্তর ২৪ পরগনা(০৯-০৯-২০২৪): ৯ই সেপ্টেম্বর রাতে সন্দেশখালী থানার অন্তর্গত মাঝের সরবেড়িয়া গ্রামে মা দুর্গার মূর্তি ভাঙচুর করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে গ্রামের মন্দিরে প্রতিমা নির্মাণ করা হচ্ছিলো।

৪। হুগলী(১৪-০৯-২০২৪): ১৪ই সেপ্টেম্বর রাতে, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা মন্দিরে হামলা চালিয়ে মা দুর্গা , লক্ষী ও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করে। দুষ্কৃতীরা নির্মীয়মান দেবী মূর্তিগুলির গোপনাঙ্গের স্থানেও আঘাত করে। ঘটনা গোঘাট থানার অন্তর্গত ঝরিয়া গ্রামের।

৫। মালদহ(১৭-০৯-২০২৪): ১৭ই সেপ্টেম্বর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা বাবা বিশ্বকর্মা পূজার মণ্ডপে হামলা চালিয়ে মূর্তি ভাঙচুর করে। বাবা বিশ্বকর্মা মূর্তির মাথা কেটে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনা গাজোলের।

৬। বীরভূম(১৮-০৯-২০২৪): পুরো হিন্দু পরিবারকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার ঘটনা ঘটলো। হাসন বিধানসভার অন্তর্গত কানহাইপুর গ্রামের ওই হিন্দু পরিবারের ৫ সদস্যকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। ধর্মান্তরণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

৭। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(২৩-০৯-২০২৪): শিব মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাঙচুর করার সময় এক মুসলিম মহিলাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয় হিন্দুরা। মন্দিরে পূজা দেওয়ার অছিলায় মন্দিরে ঢুকে পড়েন ওই মহিলা। কিন্তু শাড়ির আড়ালে লুকিয়ে রাখা পাথর দিয়ে আঘাত করে মূর্তি ভাঙার চেষ্টা করেন ওই মুসলিম মহিলা। ঘটনা বারুইপুর শহরের।

৮। মুর্শিদাবাদ(২৭-০৯-২০২৪): গলায় তুলসী মালা পরে স্কুলে আসায় এক হিন্দু ছাত্রকে বকাবকি করলেন শিক্ষক এহসান আলী। ২৪শে সেপ্টেম্বর ঘটনাটি ঘটে শক্তিপুর থানার অন্তর্গত রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের।

৯। কোচবিহার(২৯-০৯-২০২৪): নির্মীয়মাণ দুর্গা পূজার মণ্ডপে গরুর কাটা মাথা রেখে গেলো অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনা শীতলকুচি থানার অন্তর্গত খলিসামারি এলাকার।

অক্টোবর

১। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(০৪-১০-২০২৪): নাবালিকা হিন্দু মেয়ে(১০)-কে অপহরণ করে ধর্ষণের পর খুন করার ঘটনা ঘটলো জয়নগর থানার অন্তর্গত মহিষমারী গ্রামের। ঘটনায় মুস্তাকিন সর্দার নামে এক মুসলিম যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২। আলিপুরদুয়ার(১০-১০-২০২৪): ১০ই অক্টোবর সন্ধ্যায়, সন্ধ্যা আরতির সময়, দুর্গা পূজা মণ্ডপে এসে মাইক বন্ধ করার হুমকি দিয়ে যায়। এমনকি মাইক বন্ধ না করলে মূর্তি ভাঙচুর করার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনা ফালাকাটা শহরের একটি মহিলা পরিচালিত পূজা মণ্ডপের।

৩। কলকাতা(১১-১০-২০২৪): একদল ইসলামিক মৌলবাদী জোর করে ঢুকে পড়ে গার্ডেন রিচ এলাকার একটি দূর্গা পূজা মণ্ডপে। পূজা মণ্ডপের মাইক না বন্ধ করলে প্রতিমা ভাঙচুর করার হুমকি দেওয়া হয়। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পূজা কমিটি।

৪। হাওড়া(১৩-১০-২০২৪): শ্যামপুরের দুর্গা পূজা মণ্ডপে হামলা চালালো একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। মা দুর্গার মূর্তি ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়।

৫। হাওড়া(১৪-১০-২০২৪): বাউড়িয়াতে দুর্গা মাতার বিসর্জন শোভাযাত্রায় হামলা চালায় একদল মুসলিম দুষ্কৃতী। হিন্দুদের পাল্টা প্রতিরোধ ঘিরে শুরু হয় সংঘর্ষ। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

৬। হুগলী(১৪-১০-২০২৪): ১৪ই অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা নির্মীয়মান ৪ টি লক্ষী মাতার প্রতিমা ভাঙচুর করে। ঘটনা চন্দনগরের।

৭। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(১৬-১০-২০২৪): নোদাখালী থানার অন্তর্গত বাওয়ালী রথ তলা এলাকার একটি লক্ষী পূজা মণ্ডপে হামলা চালিয়ে মূর্তি ভাঙচুর করে মুসলিম দুষ্কৃতীরা।

৮। কোচবিহার(১৬-১০-২০২৪): রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ নগেন রায় সিতাই এলাকার হিন্দু সাধুকে মারধর করেন, এমনই অভিযোগ। স্বামী বিজ্ঞনানন্দ মহারাজের অভিযোগ, আশ্রমে এসে তাকে মারধর ও অপমান করেছেন নগেন রায়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নামেন স্থানীয় হিন্দুরা। ক্ষুব্ধ হিন্দুরা কয়েক ঘন্টা পথ অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

৯। মুর্শিদাবাদ(২৫-১০-২০২৪): রাণীনগর থেকে ৪ ১ জন বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতরা নকল আধার কার্ড জোগাড় করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করছিলো।

১০। বীরভূম(২৯-১০-২০২৪): বোলপুর শহরের বিরিয়ানি দোকানের মালিক মহম্মদ ইকবাল আলম ধারালো অস্ত্র দিয়ে একটি ষাঁড়কে আঘাত করে। আঘাতের ফলে ষাঁড়ের শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হয়। অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১১। দার্জিলিং(৩০-১০-২০২৪): ৩০শে অক্টোবর রাত্রি ১ ১টা নাগাদ, ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত ঝকমলাল এলাকার কালী পূজা মণ্ডপে হামলা চালায় কয়েকজন মুসলিম দুষ্কৃতী। কালী মাতার মূর্তি ভাঙচুর করা হয়।

১২। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(৩১-১০-২০২৪): স্থানীয় মুসলিমরা কালী মাতা পূজা মণ্ডপের মাইক বন্ধ করার ধমকি দিয়ে যায়। পূজা মণ্ডপে এসে হুমকি দিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হিন্দুরা রাজি হননি। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এক হিন্দুর বুখে ছুরি বসিয়ে দেয় এক মুসলিম যুবক। ঘটনা উস্থি থানার অন্তর্গত কানপুর গ্রামের।

১৩। কলকাতা(৩১-১০-২০২৪): রাজু শেখ হঠাৎই কালী মাতার পূজা মন্ডপে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনা দমদমের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকার।

নভেম্বর

১। কলকাতা(০১-১১-২০২৪): কালী মাতা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলা চালালো মুসলিম দুষ্কৃতীরা। শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথর ছোঁড়া হয়। ঘটনা রাজাবাজারের।

২। দক্ষিণ ২৪ পরগনা(০৩-১১-২০২৪): ৩রা নভেম্বর রাতে, সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার কামালগাজী এলাকার কালী মাতার পূজা মণ্ডপে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। মণ্ডপ, কালী মাতার মূর্তি ও পূজার উপাচার ভাঙচুর করা হয়।

৩। নদীয়া(০৭-১১-২০২৪): আসন্ন রাস উৎসব উপলক্ষে তৈরী করা প্রতিমা ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটে নবদ্বীপে। ভাঙা প্রতিমা দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় হিন্দুরা।

৪। বীরভূম(১১-১১-২০২৪): আহমেদপুরের ঈশ্বরপুর গ্রামে একটি কুকুরকে চাপা দেয় ডাম্পার চালক লালচাঁদ শেখ। স্থানীয় পশু প্রেমী যুবক অভীক ভট্টাচার্য্য প্রতিবাদ করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অভীকের উপরে হামলা চালায় লালচাঁদ শেখ। হামলায় অভীকের বাম হাতের একটি আঙ্গুল কাটা যায়।

৫। উত্তর দিনাজপুর(১২-১১-২০২৪): এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে সরফরাজ খান। ইসলামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বিহার থেকে ওই হিন্দু নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং অভিযুক্ত সরফরাজ খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা দায়ের করেনি পুলিশ। আদালতের নির্দেশে পরে POCSO ধারা যোগ করা হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

৬। মুর্শিদাবাদ(১৬-১১-২০২৪): কার্তিক পূর্ণিমার রাতে, একাধিক পূজা মণ্ডপে হামলা চালায় মুসলিম দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে ও দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে। বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

৭। উত্তর ২৪ পরগনা(২৫-১১-২০২৪): হিন্দু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের কিছু মুসলিম বাসিন্দা শ্মশানের জমি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা মিনাখাঁ থানার অন্তর্গত শিবপুর গ্রামের।

৮। মালদহ(২৮-১১-২০২৪): সাধু হিরণ্ময় গোস্বামী মহারাজকে আটক করে কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখা হলো পুলিশ স্টেশনে। রতুয়া থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে ভবগৎ কথা অনুষ্ঠানে ছিলেন তিনি। সেখান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কালিয়াচক থানায়। কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখার পর মহারাজকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

৯। বীরভূম(২৮-১১-২০২৪): ২৮শে নভেম্বর রাতে , সিউড়ি থানার অন্তর্গত ইন্দ্রাগাছা এলাকার শ্রী হনুমান মন্দিরে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের ভিতরে থাকা শ্রী হনুমানের মূর্তিটি ভাঙচুর করে ফেলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের উদ্যোগে মূর্তিটি মেরামত করা হয় এবং মন্দিরে স্থাপন করা হয়।

ডিসেম্বর

১। নদীয়া(০৮-১২-২০২৪): করিমপুর থানার অন্তর্গত নিমতলা গ্রামের কালী মাতা মন্দিরে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করার পাশাপাশি মন্দিরের ভিতরে মলমূত্র ত্যাগ করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রাতের অন্ধকারের সুযোগে এমন কান্ড ঘটায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।

২। পূর্ব মেদিনীপুর(১৭-১২-২০২৪): হেঁড়িয়াতে ‘হিন্দু হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান দিলেন মুসলিম দুষ্কৃতীরা। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

৩। পূর্ব মেদিনীপুর(২০-১২-২০২৪): নন্দকুমার থানার অন্তর্গত শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের উপরে হামলা চালালো পাশের গ্রামের একদল মুসলিম বাসিন্দা। ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। এক হিন্দু মহিলাকে মারধর করে নগ্ন করে রাস্তায় টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়। আসেপাশের হিন্দুরা দৌড়ে এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে।

৪। উত্তর দিনাজপুর(৩১-১২-২০২৪): জমি দখল করার উদ্দেশ্যে এক হিন্দু পরিবারের উপরে হামলা চালালো এক দোল মুসলিম দুষ্কৃতী। হিন্দু পরিবারের সমস্ত সদস্যকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাদ যায়নি একজন গর্ভবতী মহিলা। অত্যাচারের কারণে ওই মহিলা সময়ের পূর্বে সন্তানের জন্ম দেন। ঘটনা ডালখোলা থানার অন্তর্গত লোহাপুঞ্জি গ্রামের।