Hindu Voice Team: দীর্ঘ সাত বছর আদালতের চক্কর কেটেও ন্যায় পেলেন না পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের ঘোড়ই পরিবার। পুলিশের গাফিলতিতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থিত না করার কারণে ছাড়া পেয়ে গেলেন অভিযুক্ত হামিদুল আলী। বর্তমানে কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারটি।
২০১৮ সালের ২রা জুন তমলুক থানার অন্তর্গত চিয়াড়া গ্রামের একটি খড়ি গাছের ঝোপের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় ১৪ বছর বয়সী শুভশ্রী ঘোড়ই(নাম পরিবর্তিত)- এর পচাগলা দেহ। ওই বছরের ৩০শে মে তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল সে। দেহ উদ্ধারের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাদের অভিযোগ ছিল যে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

তিন দিন পর হাওড়া জেলা থেকে হামিদুল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুরু হয় আদালতের চক্কর।
ঘটনার পরই পরিবারের অভিযোগ ছিল যে তাদের কন্যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে নৃশংসতার চিহ্ন ছিল। কিন্তু পুলিশ তথ্য প্রমাণ আদালতে উপস্থিত করতে পারেনি। অভিযোগ, ফরেনসিক রিপোর্টে যথেষ্ট প্রমাণ পাঠানো হয়নি। গাফিলতি রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও। মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট উল্লেখ নেই। আর তার ফলেই গত ২৪শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে অভিযুক্তকে মুক্তি দেয় আদালত।
তাছাড়া আর একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার রয়েছে। ওই নাবালিকার পিতা একটি মিষ্টি দোকানের সামান্য কর্মচারী ছিলেন। হতদরিদ্র পরিবারটির নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এমতবস্থায়, পরিবারটি ন্যায় বিচার পেতে যে পরিমাণ খরচ করতে হয়, তার সামর্থ্য নেই পরিবারটির। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।