একটি নতুন লাভ জিহাদের ঘটনা সামনে এসেছে আসামের গোসাইগাওঁ থেকে। হিন্দু নাম নিয়ে ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল খুলে এক হিন্দু নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সহিদুল ইসলাম। তারপর সহিদুল তাঁর দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে এবং পশ্চিমবঙ্গে পাচারের চেষ্টা করে। তার আগেই পুলিশের তৎপরতায় ওই হিন্দু নাবালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পুলিশ তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গিয়েছে, গোসাইগাওঁ-এর ওই হিন্দু নাবালিকার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘মৃণাল রায়’ নামে এক যুবকের পরিচয় হয়। ওই যুবক নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেয়। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সংসার বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে ওই হিন্দু নাবালিকা গত ২০শে আগস্ট মৃণালের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রেমিক মৃণাল ওই নাবালিকাকে একটি গাড়িতে করে আসাম থেকে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার নিয়ে যাচ্ছিল।
গাড়িতে করে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার আগে আসাম-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের শ্রীরামপুর এলাকায় নাকা চেকিং পয়েন্টে গাড়ি আটকায় পুলিশ। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ গাড়িতে তিনজন যুবক এবং একজন মেয়েকে দেখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নাবালিকা জানায় যে সে সংসার বাধাঁর স্বপ্ন নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে।
কিন্তু পুলিশ তাঁর প্রেমিক মৃণালের নথিপত্র যখন দেখে, তখন চমকে যায়। দেখা যায় যে মৃণালের আসল নাম সহিদুল ইসলাম। তখন পুলিশ তাদের আটক করে শ্রীরামপুর থানায় নিয়ে যায়। সহিদুল জেরায় জানায় যে সে ফেসবুকে হিন্দু নাম ‘মৃণাল রায়’ নিয়ে একটি প্রোফাইল খুলেছিল। সেই প্রোফাইলের মাধ্যমে ওই হিন্দু নাবালিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল সে। পুলিশ সহিদুলের সঙ্গে থাকা তাঁর দুই বন্ধু মিনহাজ আলী এবং সাইফুল ইসলামকে আটক করে।
জেরায় সহিদুল আরও জানায় যে ওই নাবালিকাকে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে কোথাও নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তদন্তের স্বার্থে তা অবশ্য জানায়নি পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, ধৃত তিনজন নারী পাচার চক্রের সদস্য। ওই নাবালিকাকে হয়তো পাচার করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
পরে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ওই নাবালিকার পরিবারকে জানায়। খবর দেওয়া হয় গোসাইগাওঁ থানায়। ধৃত তিনজন এবং উদ্ধার হওয়া নাবালিকাকে গোসাইগাওঁ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।