© আশুতোষ দাস
যেখানেই রামকৃষ্ণ মিশনের নপুংসক সাধু-সন্ন্যাসীদের পাওয়া যাবে, সেখানেই তাদেরকে প্রতিহত করা প্রতিটি হিন্দুর ধর্মীয় দায়িত্ব, কেনো বলছি এই কথা, সেটা এই লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন।
রামকৃষ্ণ মিশনের যীশু পূজা :
রামকৃষ্ণদেবের বিরুদ্ধে কথা বলায়, যারা আমার উপর চটেছেন বা আমার কথার বিরোধিতা করেছেন, তাদেরকে জিজ্ঞেস করছি- সর্বধর্ম সমন্বয়ের নামে রামকৃষ্ণ মিশনে যীশু পূজা ক’রে, এরা কি সাধারণ হিন্দুদেরকে খ্রিষ্টধর্মের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে না ? আর এটা করে কি এরা খ্রিষ্টান মিশনারীদের দায়িত্ব পালন করছে না এবং আল্টিমেটলি হিন্দুধর্মের ক্ষতি করছে না ?
রামকৃষ্ণ মিশনের বয়স ১০০ বছরেরও বেশি, এই সময়েই খ্রিষ্টান মিশনারীরা এবং মাদার তেরেসা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লক্ষ লক্ষ হিন্দুকে খ্রিষ্টানে পরিণত করেছে, কিন্তু এই ধর্মান্তরকরণ রোধ করতে রামকৃষ্ণ মিশন কোনো ভূমিকা পালন করে নি। অথচ এটা রোধ করার মতো তাদের শক্তি, অর্থ এবং জনবল ছিলো, কিন্তু এ ব্যাপারে তারা কোনো কাজ করে নি, এটা কি খ্রিষ্টান মিশনারীদেরকে ধর্মান্তরকরণে পরোক্ষভাবে সহায়তা সহায়তা নয় ?
একদিকে তারা খ্রিষ্টান মিশনারীদেরকে প্রতিরোধ করে না, অন্যদিকে নিজেরাই মন্দিরে যীশুখ্রিষ্টের পূজা করে হিন্দুদেরকে খ্রিষ্টান হতে পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করছে। এই ধরণের সংগঠনের কি ভারত বা বাংলাদেশে টিকে থাকার কোনো অধিকার আছে ?
নেই।
শুরু থেকেই রামকৃষ্ণ মিশন একটি ক্ষতিকারক সংগঠন, ১৯৪৬ সালে নোয়াখালিতে কিছু জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হিন্দুকে পুনরায় হিন্দুধর্মে ফিরিয়ে আনা ছাড়া এই সংগঠনের এমন কোনো হিন্দুকল্যানমূলক কাজ আমি দেখি নি। এর বিপরীতে এরা এমন সব কাজ করে, যা হিন্দু ছেলেমেয়েদেরকে হিন্দুধর্ম ত্যাগে উৎসাহিত করে। এদেরকে ডাইরেক্ট বিনাশ করে দেওয়া উচিত এবং বিনাশ করে দেওয়া কর্তব্য। কিন্তু সেটা করা যেহেতু সহজ নয় এবং হিন্দুদের মন মানসিকতা বা চরিত্রে এই ধরণের ধ্বংসাত্মক উপাদান নেই, সেহেতু সাধারণ হিন্দুদের প্রতি আমার অনুরোধ- আপনারা রামকৃষ্ণ মিশনকে বয়কট করুন, রামকৃষ্ণ মিশনে কোনোরকম অনুদান দেবেন না, এই ক্ষতিকারক সংগঠনের ভক্ত বা শিষ্য হবেন না। এই অকর্মা এবং নপুংসক সংগঠনে সাধারণ হিন্দুরা যখন যাবে না, তখন এরা বুঝতে পারবে এদের ভুল, তখন হয় এরা নিজেদেরকে সংশোধন করে নেবে, নয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং এর ফলে যা হবে তাতেই হবে হিন্দু সমাজের মঙ্গল।
মনে রাখবেন আপনার ধর্ম ও সংস্কৃতিতে রক্ষা আপনাকেই করতে হবে এবং এর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আপনাকেই কাজ করতে হবে। সেই জায়গায় নিজেদের জন্য কাজ করার বিপরীতে রামকৃষ্ণ মিশন- সর্বধর্ম সমন্বয়ের নামে কাজ করছে অন্যধর্মের জন্য। এরা কি কোনোভাবে হিন্দুধর্ম ও সমাজের মঙ্গল চায় ? যদি চাইতো, তাহলে কি এরা মন্দিরে যীশুর পূজা করতে পারতো ?
পারতো না।
অনেকে মনে করতে পারেন, রামকৃষ্ণ মিশনের যীশু পূজা আসলে লোকদেখানো পূজা, খ্রিষ্টানদেরকে খুশি করে তাদেরকে হিন্দুধর্মে টানার একটা পরিকল্পনা। কিন্তু বাস্তবে রামকৃষ্ণ মিশন কখনো অন্য ধর্মের লোককে ধর্মান্তরিত করে হিন্দু বানিয়েছে, এমন কোনো ইতিহাস নেই আর রামকৃষ্ণ মিশনের যীশুপূজা লোক দেখানোও নয়; এর প্রমাণ হলো- যীশুর পূজার জন্য এরা মন্ত্র বানিয়েছে, দেখুন নিচে-
“ওঁ মধুরসরলবাক্যৈ-রীশতত্ত্বং প্রকাশ্য,
ক্রশগতপরিশেষঃ অপীশপুত্রঃ অমৃত যঃ।
তমতিশয় পবিত্রং মেরিজং লোকবন্ধুম্,
বিমলপরমহংসং রামকৃষ্ণং ভজামঃ।।”
এবং রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃক প্রবর্তিত যিশুর বীজমন্ত্র হলো- “ওঁ যিশবে নমঃ।এই নির্বোধ ও নপুংসকদের কাজ কারবার বিচার বিশ্লেষণ করে পাঠক বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ- আপনারা রামকৃষ্ণ মিশনের সাধু সন্ন্যাসীদেরকে শুধু বয়কট নয়, এদেরকে যে যেভাবে পারুন প্রতিরোধ করুন; মনে রাখবেন- আপনার এই মানসিকতা বা এই ধরণের উদ্যোগই রক্ষা করতে পারে হিন্দুধর্ম ও সমাজকে।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)