বাংলাদেশ: টাকায় মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারের ছবি, ক্ষুব্ধ ‘হেফাজত-ই-ইসলাম’



Updated: 06 June, 2025 4:53 am IST

টাকায় মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারের ছবি দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠী ‘হেফাজত ই ইসলাম’। এক বিবৃতি জারি করে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে অবিলম্বে ওই নোট বাতিলের দাবি জানানো হলো। 

মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার সম্প্রতি নতুন সিরিজের ব্যাংক নোট জারি করেছে।ইতিমধ্যে সেই নোট বাজারে ছাড়াও হয়ে গিয়েছে। নোট ছাড়ার পর দেখা যায় কুড়ি টাকার নোটে রয়েছে মন্দিরও বৌদ্ধবিহারের ছবি। আর এতেই ক্ষুব্ধ ‘হেফাজত- ই ইসলাম’। 

ছবিতে দেখা গিয়েছে যে কুড়ি টাকার নোটের এক পাশে রয়েছে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বিখ্যাত মন্দির কান্তাজীউ মন্দির। এই মন্দিরটি বাংলাদেশের মধ্যে একটি অনন্য কারুকার্যে তৈরি মন্দির। ওই নোটের অপর পাশে রয়েছে পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহারের ছবি। 

এক বিবৃতি জারি করে হেফাজতের নেতা আল্লামা বাবুনগরী জানিয়েছেন যে এই নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এই নোট বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী। এতে করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসতে পারে। অবিলম্বে সরকারের উচিত এই নোট বাতিলের ব্যাপারে বিবেচনা করা। 

হেফাজতে ইসলামের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে পুরনো কুড়ি টাকার নোটে মসজিদের ছবি ছিল। সেক্ষেত্রে মসজিদের ছবি বাদ দিয়ে মন্দিরের ছবি দেওয়া কোন ভাবেই কাম্য নয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এমন কাজ মুসলিমের ধর্মীয় বিশ্বাসের উপরে আঘাত। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নতুন নোট জারি করার পরেই বিতর্ক মাথা ছাড়া দিয়েছে বাংলাদেশে। এর আগে বাংলাদেশের ব্যাংক নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকতো। শেখ মুজিবর রহমানকে বাংলাদেশের জনক বলে সারা বিশ্ব জানে। এমন সময় মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারের নোট বাতিলের পদক্ষেপ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দেওয়া যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বলছেন জামাত এবং বিএনপির মদতে শেখ ইউনিসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের চিহ্ন বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলতে চাইছে। কারণ হিসাবে তারা বলছেন যে অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জনতাকে উস্কে দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের একাধিক ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনকি নিষিদ্ধ করা হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগকে। এমনকি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে থাকা একাধিক সংস্থার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার জনগণের মন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুছে ফেলতে টাকা থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।