থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেস’

আগামী ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেস(World Hindu Congress)। সারা বিশ্বের ২০০টি দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন এই সম্মেলনে।

উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই সম্মেলনে সারা বিশ্ব থেকে আসা হিন্দু প্রতিনিধিরা হিন্দু সমাজের মূল্যবোধ, সৃষ্টিশীলতা, ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা এবং হিন্দুত্বের গৌরবকে তুলে ধরবেন। এবারের সম্মেলনের থিম(theme) হলো “Jayasha Aayatnam Dharmah”; ইংরেজিতে অনুবাদ করলে দাঁড়ায় “Dharma, the Abode of Victory”. বাংলায় এর অর্থ হলো “ধর্ম হলো বিজয়ের আবাস”।

উদ্যোক্তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে বিশ্বের প্রায় ১.২ বিলিয়ন হিন্দুর তরফে প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনে সারা বিশ্বের হিন্দুরা যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁর সমাধান খোঁজার পাশাপাশি হিন্দুর পক্ষে যা যা সুখকর, তাও তুলে ধরা হবে।

এছাড়াও, সারা বিশ্বের হিন্দুত্ববাদী নেতা, কর্মী, উদ্যোক্তা, চিন্তাবিদদের মিলনস্থল হয়ে উঠবে এই সম্মেলন, এমনটাই আশাবাদী ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেস(WHC-২০২৩)-এর উদ্যোক্তারা। এই সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিরা একে অপরের সঙ্গে মত আদানপ্রদান, যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলতে পারবেন। এ বিষয়ে WHC-২০২৩ চেয়ারম্যান সুশীল কুমার সরাফ বলেন, “হিন্দু সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য যজ্ঞ হলো ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেস। এটি এমন একটি প্লাটফর্ম, যেখানে বিশ্বের সব দেশের সব ক্ষেত্রের হিন্দু তাদের সংস্কৃতির ও চিন্তাভাবনার আদানপ্রদান করতে পারবেন।”

খবর অনুযায়ী, এই সম্মেলনে মোট সাতটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। সাতটি ভাগ হলো: (১) World Hindu Economic Forum(ওয়ার্ল্ড হিন্দু ইকোনমিক ফোরাম); (২) Hindu Education Conference ( হিন্দু এডুকেশন কনফারেন্স); (৩) Hindu Media Conference (হিন্দু মিডিয়া কনফারেন্স); (৪) Hindu Political Conference (হিন্দু পলিটিক্যাল কনফারেন্স); (৫) Hindu Women Conference (হিন্দু উইমেন কনফারেন্স); (৬) Hindu Youth Conference ( হিন্দু ইউথ কনফারেন্স); (৭) Hindu Organizational Conference ( হিন্দু অর্গানাইজেশন্যাল কনফারেন্স)।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম ওয়ার্ল্ড হিন্দু কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে, দিল্লীতে। তারপরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরে। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগোর ধর্ম মহাসভায় স্বামী বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক ভাষণের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। আগের সম্মেলনগুলির ঐতিহাসিক সাফল্যের পর এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ব্যাংককে।

( CLICK HERE to read the original Story)