পশ্চিমবঙ্গের মুকুটে নতুন পালক যোগ হলো। দুর্গা পূজার মণ্ডপে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রদর্শনে বাজানো হলো আজান। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চারিদিকে নিন্দার ঝড়। একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপিও নিন্দায় সরব।
জানা গিয়েছে, হুগলী জেলার উত্তরপাড়ার একটি ক্লাব প্রতি বছরের মতো এবছরেও দুর্গা পূজার আয়োজন করেছিল। তবে এবছরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রদর্শন করতে ক্লাবের তরফে পূজা মণ্ডপের মাইকে আজান বাজানো হয়। অনেকেই এমন উদ্যোগকে বাহবা দিলেও নিন্দায় সরব হয়েছেন বহু মানুষও। সামাজিক যোগাযোগ মাধমেও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন, পূজা মণ্ডপের ভিতরে জন বাজিয়ে আসলে পূজার পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে।
এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন হিন্দু সংগঠন হিন্দু সংহতির সভাপতি শ্রী শান্তনু সিংহ। তিনি বলছেন যে এমনভাবে আজান বাজিয়ে হিন্দুর ধর্মীয় শ্রদ্ধা ও অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে পূজা কমিটি। কারণ পূজা বিশেষ নিয়ম মেনে অনুষ্ঠিত হয়। তার সঙ্গে জড়িত থাকে শ্রদ্ধাও। ফলে নিজেদের ইচ্ছেমত ইটা সেটা করতে পারে না পূজা কমিটি। পূজা কমিটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
In the name of ‘secularism’, a convenient euphemism for ‘appeasement’, Mamata Banerjee’s administration is defiling the sanctity of Durga Puja.
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) October 23, 2023
At a puja pandal in Serampore’s Uttarpara, devotees of Maa are being subjected to Islamic prayers. This is being done at the behest of… pic.twitter.com/T2kVvsHQNk
অন্যদিকে ঘটনার প্রতিবাদে সরব পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দল বিজেপিও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভিডিও পোস্ট করে মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনের মুসলিম তোষণকে নিশানা করেছে বিজেপি।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পূজা মণ্ডপে আজান বাজানো বন্ধ করেছে ক্লাবটি। তবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত পূজার উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।