উত্তরাখণ্ড: আমে বিষ দিয়ে বাঁদরদের হত্যা, গ্রেপ্তার জান মহম্মদ সমেত ৯



Updated: 21 June, 2023 9:40 am IST

আমে বিষ দিয়ে বাঁদরদের হত্যা করার ঘটনায় তদন্তে নেমে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতদের নাম জান মহম্মদ, ইনামুদ্দিন, ছোটে খাঁন, ইমরান, আফজল, আনোয়ার, ইকরার, নাদিম এবং মুবারক। গতকাল ধৃতদের গ্রেপ্তার করে গুঠী থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১৮ই জুন, রবিবার কাশীপুরের এক আম বাগানে ঘাস কাটতে যাওয়া মহিলারা একাধিক বাঁদরকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মৃত বাঁদরের দেহগুলি আম রাখার ক্যারেটে ভরা ছিল এবং তার উপরে শুকনো পাতা চাপা দেওয়া ছিল। মুহুর্তের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নিরীহ পশুদের এমনভাবে হত্যা করে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এবং বাঁদরগুলির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। রিপোর্ট এলে দেখা যায় যে বিষের কারণে বাঁদরগুলির মৃত্যু হয়েছে। তারপরই বাগানের লিজ নেওয়া জান মহম্মদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে পুরো ঘটনার কথা জানতে পারা যায়।

জেরায় জান মহম্মদ জানায় যে বাঁদররা প্রায়শই দল বেঁধে বাগানে আসতো এবং আম খেয়ে যেত। আর এর ফলে আম বাগানের ক্ষতি হচ্ছিলো। আর তাই বাঁদরদের মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মত বিষ কিনে নিয়ে আসে সে। তারপর কর্মীদের বলে যে পাঁচিলের ধারের কয়েকটি গাছের আমে বিষ ছড়িয়ে দিতে। তার কথামতো তাঁর বাগানের কর্মীরা আমে বিষ ছড়িয়ে দেয়। সেই বিষ আম খেয়ে মারা যায় ৮টি বাঁদর।

পরে সেই বাঁদরের দেহ লুকাতে আম বাগানের এক পাশে গর্ত খোঁড়া হয়। আম রাখার ক্যারেটের মধ্য মৃত বাঁদরের দেহগুলি ভরে শুকনো পাতা চাপা দিয়ে দেওয়া হয়।

ডিএসপি বন্দনা শর্মা জানান যে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্য পশু সংরক্ষণ আইন ও পশুদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতা আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-A ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাগান মালিক সন্দীপ শর্মার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কাশীপুরে অবস্থিত ওই আম বাগানের মালিক দিল্লীর বাসিন্দা সন্দীপ শর্মা। তিনি দুই বছর আগে জান মহম্মদকে ওই আম বাগানটি লিজে দেন। তারপর থেকেই আম বাগানটি দেখভাল করছেন জান মহম্মদ।