ফের যোগী রাজ্যে চললো বুলডোজার। এবার হিন্দু তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সিকান্দার খানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো যোগীর প্রশাসন। গত ২৭শে জুন, মঙ্গলবার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সিকান্দারের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়া, বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশের তরফে।
জানা গিয়েছে, ১৯ বছর বয়সী ওই হিন্দু তরুণী এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফতেপুরে এসেছিলেন। ওই হিন্দু তরুণী আদতে গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের বাসিন্দা।
বিয়ের অনুষ্ঠানে এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। ওই যুবক নিজেকে সোনু হিসেবে পরিচয় দেয়। তারপর বিয়ে বাড়ি থেকে পেরিয়ে পাশের একটি নির্জন নির্মীয়মান বাড়িতে দুজনে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য যায়। সেখানে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সোনু। তারপর সিমেন্ট ব্লক দিয়ে তরুণীর মুখে ও শরীরে আঘাত করে। মেয়েটি লুটিয়ে পড়লে সে মরে গিয়েছে ভেবে পালিয়ে যায় সে।
পরে পরিবারের লোকেরা খুঁজতে খুঁজতে ওই বাড়িতে পৌঁছে যায়। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন তাঁরা। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে কানপুরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সোনুকে গ্রেপ্তার করে। জেরায় জানা যায় যে সোনু তাঁর আসল নাম নয়। হিন্দু তরুণীকে প্রেমের জালে ফাঁসাতে সে সোনু নামে বলেছিল মেয়েটিকে।
এই ঘটনা সামনে আসার পর ধর্ষক ও খুনি সিকান্দার খানের বেআইনিভাবে নির্মিত বাড়িতে বুলডোজার চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সিকান্দারের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।