এবার তামিলনাড়ু পুলিশের হিন্দু বিরোধী রূপ প্রকাশ পেলো। আজব কারণ দেখিয়ে গণেশ প্রতিমা তৈরি বন্ধ করে দিলো তামিলনাড়ু পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তাদের দাবি, প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে রাসায়নিক, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই প্রতিমা তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সামনেই শ্রী গণেশ চতুর্থী। তাই জোরকদমে চলছিল প্রতিমা তৈরির কাজ। তামিলনাড়ুর করুর জেলার সুঙ্গাগোট এলাকায় গণেশ প্রতিমা তৈরির কাজ করছিলেন শিল্পীরা। তাদের সেই কারখানাগুলিতে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু দিন দুয়েক আগে প্রতিমা তৈরির কারখানাতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের লোকজন। তাঁরা প্রতিমায় ব্যবহার করা রং ও অন্যান্য জিনিসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
By disrupting the business of people dependent on the outcomes our festivities offer, DMK is not only hurting the feelings of the practitioners of Sanatana Dharma but also stopping the multiplier effect in the local economy.
— K.Annamalai (@annamalai_k) September 15, 2023
With Vinayagar Chaturthi a few days away, this… pic.twitter.com/DcMWMydyIJ
পরে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বোর্ডের তরফে জানানো হয় যে প্রতিমায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। এই সব প্রতিমা নদীতে বিসর্জন দিলে দূষণ হবে। আর এই কারণ দেখিয়ে প্রতিমা তৈরির কারখানা সিল করে দেওয়া হয়।
সেই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে প্রতিমা তৈরির কারখানা সিল করে দেওয়ায় কান্নায় ফেটে পড়ছেন শিল্পীরা ও তাদের পরিবারের লোকজন। তাঁরা বলেন, প্রতিমা বিক্রি না হলে পথে বসতে হবে তাদের। এক শিল্পী বলেন যে কারখানা সিল করে দেওয়ায় তাঁর ক্ষতির পরিমান দশ লাখ টাকা। শিল্পীদের দাবি, প্রতিমা তৈরিতে কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি। শুধুমাত্র জল রং ব্যবহার করা হয়েছে। তারপরেও হঠাৎই প্রতিমা তৈরির কারখানা সিল করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সনাতন ধর্মকে খতম করার ডাক দিয়েছিলেন তামিলনাড়ু সরকারের মন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন। তাঁর সেই মন্তব্যের পরেই গণেশ প্রতিমা তৈরি বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। অনেকেই দুটি ঘটনাকে এক তারে জুড়ে দেখছেন। গণেশ চতুর্থীর কয়েকদিন পূর্বে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক স্থানে এবারে পূজা করতে সমস্যায় পড়তে হবে হিন্দুদের। এভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে ব্যবহার করে আসলে সনাতন হিন্দু ধর্মকে টার্গেট করা হচ্ছে, বলছেন অনেকে।