সুইডেনের চরম ডানপন্থী রাজনৈতিক নেতা রসমুস পালুদিনের কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানালো তুরস্ক ও পাকিস্তান। তুরস্ক ওই নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে দেশটিতে থাকা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে। পাশাপাশি সুইডেনে থাকা অভিব্যক্তি প্রকাশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইন বদল করার আবেদন জানায় তুরস্ক।
উল্লেখ্য, সুইডেনের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছে দেশটির চরম ডানপন্থী দল হার্ড লাইন(Hard Line)। দলটির অভিযোগ, সুইডেনের অভিবাসন নীতির কারণে দেশটিতে প্রচুর সংখ্যক মুসলিম শরণার্থী ঢুকে পড়ছে। এর ফলে দেশটির জনবিন্যাসের পরিবর্তন ঘটছে এবং মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে। এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাঙ্গা ও অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। তাঁর দাবি, অভিবাসন নীতির পরিবর্তন করা হোক।
খবর অনুযায়ী, গত ২১শে জানুয়ারি পুলিশের অনুমতি নিয়েই কোরআন পোড়ানোর কাজ করেন পালুদিন। পালুদিন স্পষ্ট জানান যে ইসলামের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই চলবে। এমনকি তুরস্কের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন পালুদিন। তিনি জানান যে তুরস্ক প্রভাব বিস্তার করছে এবং সুইডেনের অভিব্যক্তির স্বাধীনতার আইন(Law of Freedom of Expression) পরিবর্তন করতে চায়। তাই এর বিরুদ্ধে তাঁর এমন পদক্ষেপ বলে জানান পালুদিন।
আর রসমুস পালুদিনের এমন কাজে নিন্দার ঝড় মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশে। তুরস্ক ও পাকিস্তান তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তুরস্কের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ আমাদের পবিত্র কিতাবের উপরে এমন জঘন্য আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। ইসলাম বিরোধী কাজের অনুমতি দেওয়া এবং অভিব্যক্তি প্রকাশের স্বাধীনতার ছদ্মবেশে আমাদের পবিত্র কিতাবের উপরে এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।’
এমন ঘটনার নিন্দায় সরব পাকিস্তানও। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিদেশমন্ত্রীও ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে জর্ডন, কুয়েত, সৌদি আরবের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।