© শ্রী সূর্য শেখর হালদার
বাল্মীকিয় আদি কাব্য শ্রীমৎ রামায়ণ অনুযায়ী মর্যাদা পুরুষোত্তম তথা ভগবান শ্রী বিষ্ণুর সপ্তম অবতার শ্রীরামের জন্ম হয় অযোধ্যা নগরে। অযোধ্যা শব্দের অর্থ হল এমন এক নগর যা কেউ জয় করতে পারে না। ইক্ষ্বাকু বংশীয় রাজাদের রাজ্যের নাম ছিল কোশল, আর রাজধানী ছিল অযোধ্যা। বাল্মীকি রামায়ণের ‘বাল’ কান্ডের ষষ্ঠ সর্গ জুড়ে আদি কবি বর্ণনা দিয়েছেন এই অযোধ্যা নগরীর। এখানে উনি বর্ণনা করেছেন নগরের অর্থনৈতিক অবস্থা, সম্পদ, নগরীর আকৃতি, নাগরিকদের সামাজিক অবস্থা ইত্যাদি।
এই অযোধ্যা নগরীর স্থানীয় বাসিন্দারা, বিশেষত যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে; প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই নগরীতে বাস করছেন, তাঁদের বর্ণনা অনুযায়ী অযোধ্যার যে স্থানে শ্রীরামের জন্ম হয় সেখানেই গড়ে উঠেছিল একটি মন্দির। এই মন্দির রাম মন্দির নামে খ্যাত। শ্রী রামের মন্দির ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে, কিন্তু অযোধ্যার যে মন্দির , তার গুরুত্ব সর্বদাই আলাদা। কিন্তু বিগত প্রায় পাঁচশত বছর ধরে এই মন্দিরের স্থানে আমরা দেখে আসছিলাম একটি মসজিদের অবস্থান। এটির নাম বাবরি মসজিদ। ওই স্থানে আসলে মন্দির ছিল: নাকি মসজিদ ছিল সেটা নিয়ে বিতর্ক, মামলা সবই হয়েছে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ে স্বীকার করা হয়েছে যে এই স্থানে একটি মন্দির ছিল যেটি ছিল শ্রী রামের মন্দির। এই নিবন্ধে তুলে ধরতে চেষ্টা করব সেই ইতিহাস যা নীরবে সাক্ষ্য দিয়েছে মন্দিরের পক্ষে আর প্রমাণ দিয়েছে যে সেই মন্দির অবৈধভাবে ভেঙে এখানে তৈরি হয়েছিল মসজিদ যার নাম বাবরি মসজিদ।
মনে করা হয় ১৫২৮ থেকে ২৯ সাল নাগাদ মুঘল আক্রমণকারী বাবরের (যিনি ভারতের বাইরে থেকে ভারতে আসেন) সেনাপতি মীর বাকি ওরফে বাকি তাসখন্ডি এই স্থানে রাম মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করেন। বাবর এর নাম অনুসারে এই মন্দিরের নাম হয় বাবরি মসজিদ।
১৬১১ সালে ইংরেজ পর্যটক উইলিয়াম ফিঞ্চ ( William Finch) অযোধ্যা ভ্রমণ করেন এবং রানীচাঁদ বা রামচাঁদ বলে এক দুর্গের ধ্বংসাবশেষ এর কথা উল্লেখ করেন। তবে এনার বর্ণনায় মসজিদের কোন উল্লেখ পাওয়া যায়নি। ১৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে থমাস হার্বাট ( Thomas Herbert) নামে আরেক ইংরেজ পর্যটক ও ঐতিহাসিক অযোধ্যা ভ্রমণ করেন, এবং একটি প্রাচীন ও স্মরণীয় সৌধের কথা উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে রামচাঁদ বা রানিচাঁদ দুর্গ বলেই অভিহিত করেন। তিনি এই দুর্গের বর্ণনা দিতে গিয়ে ‘pretty old castle’ এই শব্দবন্ধের উল্লেখ করেছিলেন।
রাম জন্মভূমিতে মসজিদ স্থাপনের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৬৭২ খ্রিস্টাব্দে। লাল দাস এর বিখ্যাত রচনা ‘অবধ বিলাস রামায়ণ’ এই বর্ণনা দিচ্ছে। ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে অম্বরের ( রাজস্থান) রাজপুত রাজা দ্বিতীয় জয় সিং এই স্থান ক্রয় করেন এবং তার দলিলে এই স্থানে একটি মসজিদের অবস্থানের উল্লেখ পাওয়া যায়। ১৭৬৬-৭১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জেসুইট মিশনারী জোসেফ টিফেনটেহলার (Joseph Tiefenthaler) আবার এই স্থান ভ্রমণ করেন এবং লেখেন শ্রীরামের জন্ম যেখানে হয়েছিল সেই দুর্গ এবং তৎসংলগ্ন বাড়ি ভেঙে বাবর সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেন। তাঁর বর্ণনা তে এই দুর্গ টিকে তিনি রামকোট দুর্গ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন যে হিন্দুরা সেখানে কাদার তৈরি একটি বেদী করে শ্রী রামের পূজা দিত। এই বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায় ফ্রান্সিস বুচাননের ( Francis Buchanan ) বর্ণনাতেও। ১৮১০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অযোধ্যা পরিদর্শন করেন এবং উল্লেখ করেন যে নির্মাণ ভাঙ্গা হয়েছিল তা শ্রী রামের মন্দির ছিল।
এই দাবির সমর্থন পাওয়া যায় এইচ আর নেভিলের ( H.R. Neville) লেখায়।১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ইনি ফৈজাবাদ ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারের সম্পাদক ছিলেন। তিনি তাঁর লেখাতে উল্লেখ করেন যে বাবর ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যা আসেন এবং শ্রী রামের জন্মস্থান এর সৌধ ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করেন। শেখ মোঃ আজমত আলী ( ১৮১১- ৯৩) তাঁর লেখাতে দাবি করেন ৯২৩ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদটি নির্মাণ হয়। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে বাবরি মসজিদ “মসজিদ- ঈ- জন্মস্থান” নামে পরিচিত ছিল। তৎকালীন দস্তাবেজেও এই নাম পাওয়া যায়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে শ্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, সে সময় অযোধ্যার দায়িত্বপ্রাপ্ত আই. পি. এস. অফিসার ছিলেন শ্রী কিশোর কুণাল। ইনি পরবর্তীকালে দাবি করেন যে মসজিদের উপরের খোদাই তৈরি হয় ১৮১৩ সাল নাগাদ।
এই সমস্ত ঐতিহাসিক নথি থেকে প্রমাণ হয় যে অযোধ্যাতে পূর্বে রাম মন্দির ছিল। মসজিদ সরিয়ে পুণরায় রাম মন্দির নির্মাণের প্রচেষ্টা শুরু হয় ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। এই সময় নির্মোহী আখড়ার একদল সশস্ত্র সাধু মসজিদ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন এবং ওই স্থানের মালিকানা দাবি করেন।
১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন স্থানীয় প্রশাসন ঐ বিতর্কিত স্থান হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দেন। কিন্তু ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে মহন্ত রঘুবীর দাসের নেতৃত্বে হিন্দুরা ফৈজাবাদ জেলা আদালতে যান। তাঁদের দাবি ছিল ওই স্থানে একটি বেদী নির্মাণ করে শ্রী রামের পূজা করা। ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে বিচারক শ্রী হরি কিষেন সিং এই মামলা খারিজ করে দেন।
এই ঘটনার বহুকাল বাদে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে এই বিতর্কিত স্থানে শ্রী রাম ও সীতার মূর্তি পাওয়া যায়। এই ঘটনার পরে হাজার হাজার রাম ভক্ত হিন্দু সেই স্থান পরিদর্শন আরম্ভ করেন। স্বাধীন দেশের সরকার ওই বিতর্কিত জমিতে যাতায়াত বন্ধ করে দেন। ন্যায়ালয়ে একাধিক মামলা রুজু হয়। ১৯৮০ এর দশকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্যান্য হিন্দু সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ওই স্থানে মন্দির তৈরীর দাবি জানান। এই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রী রাজীব গান্ধী। তিনি ওই স্থানে হিন্দুদের প্রার্থনা ও পূজার অনুমতি দেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় রাম মন্দিরের শিলান্যাস। তখন থেকেই আন্দোলন চলতে থাকে বাবরি মসজিদ ভেঙে ওই স্থানে মন্দির নির্মাণের। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর অযোধ্যা রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে জনমত গড়তে গুজরাটের শ্রীসোমনাথ মন্দির থেকে রথ যাত্রা শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কার্যকর্তা শ্রী লাল কৃষ্ণ আডবাণী। এই রথযাত্রা স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এক অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা। রথের গন্তব্য ছিল অযোধ্যা, শ্রী রামের জন্মভূমি। সারা ভারত ভ্রমণ করে এই রথ যখন বিহারে প্রবেশ করে তখন সেখানকার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী লালু প্রসাদ যাদব পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করান আডবাণীজীকে। সেই বছরই রাম মন্দির আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। অযোধ্যাতে জমা হন হাজার হাজার করসেবক। অবস্থানরত কর সেবকদের উপর গুলি চালান শ্রী মুলায়ম সিং যাদব এর নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার। সে সময় সরকারি হিসাব মতে এই গুলিতে বীরগতি প্রাপ্ত হন অন্তত ১৬ জন রাম ভক্ত বা করসেবক।
এরপর আসে সেই ঐতিহাসিক দিন – ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের ৬ ডিসেম্বর, যেদিন বহু প্রচেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত বিজয় লাভ করেন করসেবকগণ। ভেঙে পড়ে অসংগত ও অবৈধভাবে নির্মিত বাবরি মসজিদ। দেশে শুরু হয় গোষ্ঠী দাঙ্গা। হতাহত হন বহু মানুষ। এরপর অনেক বিতর্ক, আইনি যুদ্ধের পর ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে Archaeological Survey of India(ASI ) ঐ বিতর্কিত স্থান খনন করার অনুমতি পায়। ঐ স্থান খনন করে খ্রিস্টীয় দশম শতকে নির্মিত একটি হিন্দু মন্দির-এর নমুনা মাটির নিচে পাওয়া যায়। মুসলিম গোষ্ঠী এবং তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি এর বিরোধিতা করেন এবং এই খননকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেন। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জনতা পার্টি নির্বাচনী সংকল্পপত্রে রাম মন্দিরকে স্থান দেয়। কিন্তু সেবার ভারতীয় জনতা পার্টি সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদ উচ্চ ন্যায়ালয় রায় ঘোষণা করেন যে ২.৭৭ একর বিতর্কিত জমি তিন ভাগে ভাগ হবে রামলালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়ার মধ্যে।
এরপরে ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মতামত শোনেন এবং ৯ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে এক ঐতিহাসিক রায় দান করেন। এই রায় অনুযায়ী ভারত সরকারকে একটি ট্রাস্ট বানিয়ে দিতে হবে এবং ওই ট্রাস্টের কাছে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ওই বিতর্কিত জমি হস্তান্তর করতে হবে। এই রায়ে বিচারকগণ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অন্যত্র মসজিদ বানানোর জন্য পাঁচ একর জমি দিতে নির্দেশ দেন। এই আদেশ অনুযায়ী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ভারত সরকার শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেন। এই ট্রাস্টের নেতৃত্বে থাকেন মহন্ত নিত্য গোপাল দাস। এই ট্রাস্টের মধ্যে সদস্য হিসেবে থাকেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল ও আইনজীবী কে. প্রসন্ন। এই ট্রাস্টের নেতৃত্বেই ভব্য রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয় মার্চ ২০২০ তে। মন্দির নির্মাণের উদ্দেশ্যে খনন করতে গিয়ে মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয় একটি শিবলিঙ্গ এবং বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। এর থেকে আরও প্রমাণ পাওয়া যায় যে এই স্থানে পূর্বে ছিল মন্দির।
ওই বছরের ৫ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ভব্য রাম মন্দিরের ভূমি পূজা কার্যক্রম। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হবে ভারতবাসীর বহু আকাঙ্ক্ষার রাম মন্দির।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে এই রাম মন্দিরের উপযোগিতা কি? বামপন্থী এবং তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহাসিকগণ নানাভাবে এই মন্দিরের বিরোধিতা করে এসেছেন। রোমিলা থাপার, বিপান চন্দ্র, আর এস শর্মা প্রমুখ তথাকথিত বিখ্যাত ঐতিহাসিকগণ বারংবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে শ্রীরাম আসলে একজন কাল্পনিক চরিত্র এবং অযোধ্যাতে তাঁর কোন মন্দির কখনো ছিল না। কিন্তু তাঁদের এই দাবি সত্যের অপলাপ মাত্র। তাই সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের এই মনগড়া কাহিনী কে আস্তাকুঁড়েতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। এখন অনেক তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী দাবি করছেন রাম মন্দির নির্মাণ না করে সরকার ঐ অর্থে হাসপাতাল বানাক । এখানে মনে রাখতে হবে হাসপাতাল বানানোর সঙ্গে রাম মন্দির বানানোর কোন বিরোধ নেই। একটি দেশে যেমন হাসপাতাল বা বিদ্যালয় বানানো হয়, ঠিক সেরকমই সৌধও বানানো হয়। তাছাড়া মন্দির নির্মাণের অর্থ সরকার দেবেন না; দেবেন দেশ ও বিদেশের রামভক্তগণ।
আমাদের মনে রাখতে হবে এই রাম মন্দির ভারতীয় অস্মিতার প্রতীক। শ্রীরাম ছিলেন গুণের আধার। তাঁর সেই গুণগুলি পূজিত হয়েছে হাজার হাজার বছর ধরে। শুধু ভারতে নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়াতে। তাই বৌদ্ধ দেশ থাইল্যান্ডের জাতীয় গ্রন্থ এখনো রামায়ণ। শুধু তাই নয় বৌদ্ধগণ এখনো শ্রীরাম কে বোধিসত্ত্বের কোন এক পূর্ব জন্মের রূপ বলে তুলে ধরেন। শিখ ধর্মের ধর্মগ্রন্থ আদি গ্রন্থ সাহেবেও নাম আছে শ্রী রামের। তাই একথা বলা যায় যে শ্রীরাম ভারতের সনাতন সংস্কৃতির প্রতীক। তাঁর সমস্ত গুণ আজও আমাদের কাছে অনুকরণীয়। তাই শ্রী রামের মন্দির এই সমস্ত চিরন্তন ভারতীয় গুণ গুলিকে আগামী দিনে তুলে ধরবে সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে।
এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব ছাড়াও রাম মন্দিরের রয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্ব। পর্যটনশিল্প আজকের দিনে সারা পৃথিবীতে এক গুরুত্বপূর্ণ শিল্প। সুপ্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য বহনকারী এবং ঐতিহাসিক এই রাম মন্দির দেখতে সারা বিশ্ব থেকেই মানুষ আসবেন অযোধ্যাতে। সারা বছর এই জনসমাগমে সমৃদ্ধ হবে স্থানীয় অর্থনীতি। স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে নানাভাবে। ভারত পাবে নতুন একটা পর্যটন শিল্প কেন্দ্র। এইসব কথা মাথায় রেখেই বলা যায় স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে রাম মন্দির এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করতে চলেছে। সংস্কৃত ভাষায়’ রাম ‘ শব্দের অর্থ ‘আনন্দদায়ক ‘। তাই চাইব এই রাম মন্দির আগামী দিনে সমগ্র দেশের আনন্দের কারণ হোক।
জয় শ্রী রাম।