দেশের ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তিত রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিন। আর তাই এক সরকারি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তাঁর মুখে উঠে এলো জনসংখ্যা ক্রমাগত কমে যাওয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন বলেন যে রাশিয়ার জনসংখ্যা দিন দিন কমছে। দেশে তরুণ ও তরুণীর সংখ্যা কমছে। আর এর প্রভাব পড়ছে মানব সম্পদে। দেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করার লোকের অভাব। তাছাড়া, সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার লোকের অভাব পড়ছে, তাই পুতিন এমনটা বলছেন বলে অনেকের ধারণা।
উল্লেখ্য, পুতিন কয়েকদিন আগে মস্কোতে আয়োজিত ‘রাশিয়ান পিপলস কাউন্সিল’- এর সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। সেই ভাষণ জুড়েই পুতিনের মুখে দেশের জনসংখ্যা কমার বিষয় উঠে আসে।
পুতিন বলেন, “আমাদের ঠাকুরমা ও দিদারা একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। এমনকি অনেকের ৭-৮টি সন্তান ছিল। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের মেয়েদের উচিত সেই ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং তা পুনরুজ্জীবিত করা।”
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “বড় পরিবার আমাদের আদর্শ হওয়া উচিত। পরিবার শুধু রাষ্ট্র ও সমাজের ভিত্তি নয়, এটি আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার উৎস। আপনারা যদি দেখেন, রাশিয়ার জন্মহার কয়েক দশক ধরে কমছে এবং এর ফলে দেশের তরুণ জনসংখ্যা কমেছে।”
তবে পুতিনের এমন মন্তব্যে পশ্চিমী মিডিয়া অন্য রহস্য খুঁজে পেয়েছে। তাদের বক্তব্য, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়ার বিপুল সংখ্যক সেনার মৃত্যু ঘটেছে। আর তাই সেনা বাহিনীর জন্য প্রচুর তরুন ও তরুণীর প্রয়োজন। এই সংকট আগামীদিনে আরও প্রকট হবে। আর তাই পুতিনের মুখে এমন কথা, বলছেন অনেকেই। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কত সেনার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।