যোধপুরের পর জয়সলমির। পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন। ফলে মাথার উপরের ছাদ হারিয়ে একপ্রকার খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন হিন্দু শরণার্থী পরিবারগুলো।
খবর অনুযায়ী, গত ১৬ই মে, মঙ্গলবার জয়সলমিরের অমর সাগর এলাকায় হিন্দু শরণার্থীদের বস্তিতে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। উচ্ছেদের সময় যাতে হিন্দু শরণার্থীদের বাধার মুখে পড়তে না হয়, সে জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনীও। তারপর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থীদের একের পর এক বাড়িঘর। বাধা দেওয়ায় হিন্দু শরণার্থী মহিলাদের উপরে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
আরও জানা গিয়েছে, জয়সলমিরের জেলা শাসক আইএএস টিনা দাবি উচ্ছেদের নির্দেশ। তাঁর নির্দেশে প্রশাসন পাকিস্তানি হিন্দুদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। মূলত সরকারি জমির উপরে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগে ওই হিন্দু শরনার্থীদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে গৃহহীন অসহায় হিন্দুদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে পুলিশের লাঠির আঘাতে অনেকে আহত হয়েছেন। অসহায় হিন্দুরা রাজস্থানের তীব্র গরমে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন।
পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের কল্যানে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা সমাজকর্মী ওমেন্দ্র রতনুর অভিযোগ, ISI-এর চক্রান্তে পাকিস্তানী হিন্দু শরণার্থীদের উপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। তাঁরা চায় পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দুরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হোক, তাই তাদের উপরে এমন অত্যাচার নেমে আসছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে যোধপুরের পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারের অধীনে থাকা প্রশাসন। সেই সময় কংগ্রেস সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রশাসনের এহেন কর্মকান্ডে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। কিন্তু হিন্দু দরদী বলে নিজেদের জাহির করা মোদী সরকার হিন্দু সরকার গৃহহীন হিন্দু শরণার্থীদের কল্যানে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যোধপুরের সেই সব গৃহহীন হিন্দুরা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল টাঙিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তারপরেই জয়সলমিরের হিন্দুদের উপরে নেমে এলো অত্যাচার।