চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করা হোক, দাবি জানালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রাক্তন নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। তাঁর দাবি, এটাই সঠিক সময় এবং তা না করা হলে দেশ ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি, রবিবার ছত্তিশড়ের মহাসমুন্দ জেলায় এক জনসভায় অংশ নেন বর্তমানে অন্তরাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ ভাই। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের কল্যাণে একাধিক দাবি তোলেন। অবিলম্বে দেশে অভিন্ন দেওয়ানী বিধি এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করার দাবি তোলেন তিনি। আর এই দুই আইন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশে কার্যকর করার দাবি তোলেন তিনি।
প্রবীণ ভাই বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা গভীর চিন্তার বিষয়। জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি টাইম বোমা ছাড়া কিছুই নয়। যেদিন এই টাইম বোমার বিস্ফোরণ ঘটবে, সেদিন দেশের গ্রাম ও শহরে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রবীণ ভাই।
প্রবীণ ভাই আরও বলেন, ‘বিজেপি যদি তাদের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে চায়, তবে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে দুটি আইন চালু করবে মোদী সরকার। কাশী ও মথুরায় মন্দির নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবে মোদী সরকার, এই আশা রাখি।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ, আফানিস্তান এবং পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য CAA আইন পাস করেছিল মোদী সরকার। কিন্তু প্রবল চাপের মুখে পড়ে সেই আইন এখনও লাগু করতে পারেনি মোদী সরকার। আর তা নিয়ে বিজেপির হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। এরই মধ্যে অভিন্ন দেওয়ানী বিধি এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন দেশের একাধিক ছোটবড় হিন্দু সংগঠন। আর এতে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে মোদী সরকারের উপরে যথেষ্ট চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Image credits: India Today(File photo)