গরু পাচার ইস্যুতে যখন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে, এমন হাতি পাচার নিয়ে মামলা দায়ের হলো কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta HC)-এ। মামলাকারীদের অভিযোগ, এই রাজ্য থেকে কুড়িটির বেশি হাতি অন্য রাজ্য ও বিদেশে পাচার হয়ে গিয়েছে। তাই, সেই ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত, দাবি মামলাকারীদের।
হাতি পাচার কিংবা বিক্রি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেপ ফাউন্ডেশন নামে একটি পশুপ্রেমী সংস্থা। সংস্থার তরফে আইনজীবী আদালতে জানান যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সার্কাস ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সব বন্ধ হয়ে যাওয়া সার্কাসের হাতি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর সেই সব হাতি বিভিন্ন হাত ঘুরে পাচারকারীদের হাতে চলে যাচ্ছে। পরে সেই সব হাতিকে অন্য রাজ্যে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।
ওই পশুপ্রেমী সংস্থার অভিযোগ, পাচারের খবর সামনে এলেই তাদের যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে হাতিগুলিকে যত্ন করে প্রতিপালন করা হচ্ছে। তবে এর আড়ালে হাতিগুলিকে দিয়ে খাটানো হচ্ছে। ওই সংস্থার তরফে সওয়াল করা আইনজীবী আদালতে জানান যে সম্প্রতি নটরাজ সার্কাস কোম্পানি তাদের তিনটি হাতি অন্য রাজ্যে বিক্রি করে দেয়। পরে সেই সব হাতির খোঁজ মেলে বিহারে। জিজ্ঞাসাবাদে বিহারের পক্ষ জানায় যে তাদেরকে হাতিগুলি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
এই ইস্যু তুলে মামলাকারী সংস্থার আইনজীবী আবেদন জানান যে এইভাবে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে হাতি বিক্রি করা অপরাধ। বন্যপ্রানী সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, এইভাবে বন্যপ্রাণীকে হস্তান্তর করা যায় না। তাই সেই সব হাতি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হোক, দাবি জানান ওই সংস্থার আইনজীবী।
সব শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। আদালত সম্প্রতি অস্কার জিতে নেওয়া সিনেমার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাতি ও মানুষের নিবিড় সম্পর্কের কথা বলেন। আগামি ৭শে সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে।