গত শনিবার করাচির একটি ১৫০ বছরের হিন্দু মন্দির ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার পরের দিনই রবিবার সিন্ধু প্রদেশের আরও একটি হিন্দু মন্দিরে রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা করে মৌলবাদীরা। মৌলবাদীরা মন্দির ও তার আশেপাশে নির্মিত হিন্দুদের বাড়িতে গুলিও চালায়। গুলির শব্দ শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়, তবে তার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে মন্দিরে ভাংচুরের দুটি ঘটনা।
১৫০ বছরের পুরনো “মারি মাতা মন্দির” করাচির সোলজার বাজারে অবস্থিত ছিল। স্থানীয় হিন্দুরা শনিবার (১৫ জুলাই, ২০২৩) ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মন্দির ভাঙার সময় এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বুলডোজার দিয়ে মন্দিরে ভাঙচুরের পর এখন শুধু বাইরের দেয়াল ও মূল দরজা টিকে আছে, এছাড়া মন্দিরের ভিতরের সর্বস্ব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
এই ঘটনার পরদিনই রবিবার (১৬ জুলাই, ২০২৩) সিন্ধ প্রদেশের কাশমোর বাজার এলাকায় অবস্থিত আরও একটি হিন্দু মন্দিরে মৌলবাদীরা রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালায়। এরপর স্থানীয় হিন্দুদের বাড়ি লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। স্থানীয় হিন্দুরা তাদের ঘরের ভিতরে ছিল তা না হলে বহু মানুষ এই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারাতেন। এই হামলার বিষয়ে স্থানীয় হিন্দুরা বলছেন, রকেট লঞ্চার দিয়ে মৌলবাদীরা মন্দিরে হামলা করেছিল তা বিস্ফোরিত হয়নি। যে কারণে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। এছাড়াও, হামলার সময় মন্দিরটি বন্ধ ছিল। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গোলাগুলির শব্দ শুনে কাশমোর-কান্ধকোট পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই মৌলবাদীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ বলছে, ডাকাতরা এ হামলা চালিয়েছে। প্রায় ৮-৯ জন হামলাকারী এসেছিল। হামলার পরপরই তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।