গত ২৮শে জুন তারিখে হিন্দু দর্জি কানহাইয়া লাল হত্যার এক বছর পূর্তি হলো। গত বছরে উদয়পুরে পেশায় দর্জি কানহাইয়ালালকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করায় দুই ইসলামিক মৌলবাদী গাউস মহম্মদ এবং মহম্মদ রিয়াজ নৃশংসভাবে হত্যা করে তাকে। সেই হত্যার এক বছর পরে কেমন আছে শহরের সেই বাজার? কেমনভাবে দিন কাটাচ্ছেন সেই এলাকার হিন্দুরা? একটি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
উদয়পুর শহরের মালদাস স্ট্রিট একটি ব্যস্ত বাজার ছিল এক সময়। জামা কাপড় এবং টেক্সটাইলের ব্যবসার জন্য এই স্ট্রিট বিখ্যাত। এই স্ট্রীটে মোট ৩০০টি দোকান রয়েছে। এই বাজারেই কানহাইয়ালালের দর্জি দোকান ছিল, নাম ছিল ‘সুপ্রিম টেইলার্স’। দূর দূর থেকে লোকজন আসতো এই বাজারে কেনাকাটা করতে।
কিন্তু কানহাইয়ালালকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর থেকে আতঙ্কের চোরাস্রোত বইছে পুরো এলাকায়। অনেক ব্যবসায়ী তাদের দোকান পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। অনেকে তাদের ব্যবসা অন্য বাজারে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এমনকি সেই হত্যার ঘটনার পর থেকে ভয়ে ও আতঙ্কে কাস্টমাররা আর আগের মত আসছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন যে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সন্ধ্যা ছয়টার পর পুরো বাজার বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি বাজারের আশেপাশের এলাকায় থাকা লোকজন সারাদিন তাদের বাড়ির দরজা বন্ধ করে রাখেন।
এক ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন যে ওই স্ট্রীটে আগে ১৫ থেকে ২০টি দর্জি দোকান চালু ছিল। কিন্তু ভয়ে ও আতঙ্কে অনেকে দোকান বন্ধ রেখেছেন। বর্তমানে মাত্র দুটি থেকে তিনটি দোকান চালু আছে।
ওই হত্যার পর থেকে উদয়পুর এবং আশেপাশের শহরে এমন আতঙ্ক এখনও রয়েছে যে ওই বাজারে কেনাকাটার জন্য মানুষজন আর তেমন একটা আসছে না। দীনেশ দালাল নামে এক ব্যবসায়ী জানান যে ভয়ে কাস্টমার না আসার কারণে কেনাবেচা পূর্বের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমে গিয়েছে। আগে বাজার ও দোকানপাট রাত্রি নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও কানহাইয়ালালের হত্যার পর থেকে সন্ধ্যা ছয়টার পর পুরো বাজার বন্ধ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ এবং হত্যায় মেতে উঠেছিল ইসলামিক মৌলবাদী গোষ্ঠী। আর সেই নূপুর শর্মার সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন উদয়পুরের কানহাইয়ালাল। তাঁর দর্জির দোকানে কাস্টমার সেজে উপস্থিত হয়েছিলেন দুই ইসলামিক মৌলবাদী। তারপর কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয় তাকে।
( CLICK HERE to read the original Story)